রাকিব হোসেন,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উৎযাপন উপলক্ষে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলাধীন দহগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক মিলাদ ক্রীড়া সাহিত্য -সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২৬,২৭,২৮ ও ২৯ শে মার্চ চারদিন ব্যাপী অনুষ্ঠান মালায় ২৯ শে মার্চ পুরুস্কার বিতরনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব, পাটগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম কিবরিয়া, দহগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাফিউল আলম বাবলু, দহগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মাহাবুল আলম,দহগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দহগ্রাম ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য রুনা লায়লা সহ নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান কালে এম সাইফুর রহমান বলেন,দহগ্রাম ইউনিয়নের শিক্ষা ব্যাবস্থার অনেক উন্নতি লক্ষ করা যাচ্ছে এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে,বাল্যবিবাহ কাম্য নয়,কেউ যদি কোন ছাত্রীর ১৮ বছরের নিচে বিয়ের ব্যবস্থা করে সরাসরি আমাকে ফোন দিলে আমি তাৎখনিক ব্যবস্থা নিব,যেহেতু দহগ্রাম বর্ডার এলাকা এখানে বিভিন্ন প্রকার অবৈধ ব্যবসা হতে পারে, ছাত্র-ছাত্রীদের এ থেকে বিরত থাকতে হবে,সর্বপরি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মন দিতে হবে।
দহগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন,দহগ্রাম ইউনিয়নে বাল্যবিবাহকে আমি না বললাম,১৮ বছরের আগে যদি দহগ্রামে আর কোন শিক্ষার্থীর বিয়ে হয় আমি নিজেকে ব্যর্থ মনে করবো আপনাদের বুঝা প্রয়োজন ১৮ বছরের আগে কোন মেয়ের বিয়ে হলে আমরা হারাচ্ছি একজন শেখ হাসিনা কে,হারাচ্ছি দিপু মনি কে,আমরা হারাবো বেগম রোকেয়াকে,দহগ্রাম ইউনিয়নের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আলাদা একটা চোখ রেখে দিয়েছেন আমার ছাত্র-ছাত্রী ভাই বোনদের এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে,এখান থেকে সুশিক্ষা অর্জন করে আপনারা দেশ গঠনে এগিয়ে আসবেন,আপনাদের মাধ্যমে দহগ্রামকে সারা বাংলাদেশে আমাদের পরিচিত হোক এই কামনাই থাকবে সবার প্রতি।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য প্রদান শেষে চার দিন ব্যাপি অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন দহগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম।
Leave a Reply