তাহিরপুর প্রতিনিধি:
তাহিরপুর উপজেলার বেশিরভাগ জনগন মাত্রাতিরিক্ত আয়রনযুক্ত পানি ব্যবহার করছে। এতে যেমন বিভিন্ন রোগবালাই ছড়াচ্ছে, তেমনি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মূল্যবান সামগ্রী। জানা যায় গ্রামবাসীরা নলকুপের অতিরিক্ত আয়রনযুক্ত পানি পান করে আমাশয়, গ্যাস্ট্রিক প্যাট ব্যাথাসহ নানা রোগ ব্যাধীতে ভুগছেন। এই পানি ব্যবহারে তাদের বিড়ম্বনার অন্ত নেই। গোসল করলে মাথার চুল আঠালো হয়ে জঠলা বেধে যায়। সাদা কাপড় পানিতে ধুলে লালচে হয়ে যায়।ভাত তরকারি রান্না করলে মাঝে মধ্যে কালচে রঙ ধারন করে। দুর্গন্ধের কারণে পানি পান করার রুচি হয় না। পানি আয়রন মুক্ত করার জন্য স্থানীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করেও কুলকিনারা হচ্ছে না তাদের। তাই ওয়াটার ট্রিটম্যান প্লান স্থাপন করে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের দাবি এলাকাবাসীর। শ্রীপুর দঃ ইউনিয়নের বাসিন্দা রাবেয়া বেগম বলেন, টিউবওয়েলের পানি কিছু সময় পাত্রে রাখলেই পানি লাল হয়ে যায়। বেশি সময় পাত্রে রাখলে পানির আবরন তৈরি হয়, রাতে পাত্রে রাখলে সকালে একটা গন্ধ বের হয়, ভাত তরকারী রান্না করলে কালচে হয়ে যায়। তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চ্যায়ারম্যান তুজাম্মেল হক নাছরুম বলেন, পানিতে অতিরিক্ত আয়রনের কারনে ভাল ভাবে গোসল করা যায়না চুল আাঠাল হয়ে যায়।পানি কিছু সময় পাত্রে রাখলে গন্ধ হয়ে যায় খাওয়া যায়না।কর্তৃপক্ষের কাছে আমার দাবী হলো প্রতিটি এলাকাতে গভীর নলকুপ কিংবা ওয়াটার ট্রিটম্যান প্লান্ট স্থাপন করলে হয়তোবা এসমস্যা দুর হতে পারে। শ্রীপুর দঃ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আহমেদ মুরাদ বলেন, আমার এলাকায় গভীর নলকূপ নেই বল্লেই চলে সর্বোচ্চ ৩৫০ ফুট থেকে ৪০০ ফুট গভীরে একটি টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়। কিছুদিন পরে দেখা যায় টিউবওয়েল দিয়ে পানি আসেনা।আমার এলাকায় প্রতিটা টিউবওয়েলের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আয়রন আছে যাহা মানুষের জন্য ক্ষতিকর । এলাকার মানুষ অধিকাংশ সময়ে নদী কিংবা হাওরে গোসল করে থাকেন। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমার দাবী আমার ইউনিয়নের যদি গভীর নলকুপ স্থাপন করা যায় হয়তোবা আয়রনের পানি থেকে জনগন মুক্তি পাবে। উপজেলা জনসাস্থ উপসহকারী প্রকৌশলী আল আমিন বলেন ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে একেক জায়গায় আয়রনের মাত্রা একেক রকম হয়।আমরা আয়রন রিমুভ করার জন্য মাঠে কাজ করছি। ইতিমধ্যে অনেক জায়গায় গভীর নলকুপ স্থাপন করা হয়েছে।