ঝালকাঠিতে নির্মাণের ১বছর না যেতেই ৬৩লাখ টাকার রাস্তা ভেঙে খালে, যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ
মো. নাঈম ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের জীবনদাসকাঠি গ্রামের কদম আলী মেম্বার বাড়ির কবরস্থানের পাশ হইতে নিমালা গ্রামের মাস্টার আনোয়ার বাড়ি পর্যন্ত ৯.৬৫মিটার সড়কটি নির্মাণের ১বছর না যেতেই পাইলিং এর অভাবে রাস্তা ভেঁঙ্গে খালে চলে যাচ্ছে।
যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। গালুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি রিয়াজুল ইসলাম এর বাড়ির সামনের সড়কটি পাইলিং এর অভাবে রাস্তা ভেঁঙ্গে খালে যাচ্ছে। এ সড়কটির মাধ্যমে জীবনদাসকাঠি ও নিমহাওলা গ্রাম সহ আরো বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে এই রাস্তা দিয়ে। সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকায় অবশেষে ১বছর আগে সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে কিন্তু রাস্তার খালের পাশে পাইলিং না দেওয়াতে রাস্তা ভেঁঙ্গে খালে পড়ে যাচ্ছে। এতে ওই সব এলাকার লোকজনের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ সব এলাকার লোকজনের এখন একটাই দাবী যেন দ্রুততার সাথে এ সড়কটি সংস্কার ও পাইলিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। গালুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি রিয়াজুল এবং ওই এলাকার বাসিন্দা কৃষক আব্দুল মোতালেব জানান, রাস্তায় গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। কৃষকদের যাতায়াতের মালপত্র বহনের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি।
এলাকার রোগাক্রান্ত মানুষ কিংবা মুমূর্ষু রোগীরও যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এই সড়ক। মাতৃকল্যাণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পঞ্চগ্রাম আর্দশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জীবনদাসকাঠি দাখিল মাদ্রাসা, জীবনদাসকাঠি সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়, জালালসাহী ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে। সড়কটি পূর্ণনির্মাণ ও খালে পাইলিং না হলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে।
স্থানীয় এক ব্যক্তি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, আমার স্বজনকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়াতে এম্বুলেন্স এসে ভাঙ্গা রাস্তার কারণে আসতে পারে নাই। তাই রোগীকে পায়ে হেটে পাড়ি দিয়ে এম্বুলেন্স এ উঠতে হয়েছে। উন্নয়ন এর বেহাল দশা থেকে আমরা কখন মুক্তি পাব একমাত্র আল্লাহ ভালো জানেন বলেও হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তোফা জানান ঠিকাদারের জন্য গাফলতি যেখানে পাইলিং প্রয়োজন ছিলো সেখানে না দেওয়ার কারনে রাস্তা ভেঁঙ্গে গেছে, মানুষের সুবিধার্থে প্রথমিক ভাবে রাস্তার ভাঙ্গা স্থানে বাঁশ খুটি দিয়ে পাইলিং দেবার প্রতিশ্রুতি দেন।
যেখানে পাইলিং প্রয়োজন সেখানে পাইলিং দেওয়া হয় নায় কেনো ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন মৃধা মজিবরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এ বিষয়ে আমার কোনো কিছু মনে নাই।
এ বিষয়ে উপজেলা এলজিডি প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা জানান, আমরা ইতিমধ্যে সড়কটি পরিদর্শন করেছি আমাদের নজরে আছে আমরা সড়ক মেরামত ও পাইলিং এর ব্যবস্থা করে দিবো।