মাসুদ রানা, ফেনী প্রতিনিধিঃ
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দলটির নাম বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই দলটির ভক্ত, সমর্থক ও নেতাকর্মীর সংখ্যা এত বেশী যে, মূল দল বিএনপি ছাড়াও অঙ্গসংগঠনের যে কোন একটি ওয়ার্ড কমিটি দিতে গেলেও, কাকে রেখে, কাকে দেবে? তা নিয়ে রীতমত দ্বন্দে পড়তে হয় নেতৃবৃন্দকে। সেজন্য ফেনী জেলা যুবদলের অধীনে ১১টি ইউনিটের আহবায়ক কমিটি নিরুপনে, দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম কিছু ক্রাইটেরিয়া বেঁধে দেয়। সাথে সাথে বিভাগীয় ট্রিম গঠন করে তাদেরকে কমিটি যাচাই বাচাইয়ের দায়িত্ব-ও দিয়েছে। অন্যদিকে সার্বিক বিষয়ে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্বয়ং দেখভাল করছেন বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র দাবী করে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যাঁরা দেশকে ভালবাসে, দেশের মানুষকে ভালবাসে, দেশের মানুষদের কল্যাণে, রাজনীতি করার মানসিকতায়, তৃণমূলের সাথে আত্মার সম্পর্ক বজায় রাখে। তৃণমূলের মাধ্যমে জনগণের সুখ-দুঃখের, স্পন্দন-কে সার্বিক কার্যক্রমে সমন্বয়ে মণোনিবেশ করে। তাছাড়া যাঁদের রাজনৈতিক চেতনায় স্থান পায়, ব্যাক্তি থেকে দল বড়, দল থেকে দেশ বড়। সর্বাপুরি তৃণমূলের বিবেচনায় গ্রহনযোগ্য ব্যাক্তিত্বরা-ই, জেলা যুবদলের অধীনে ১১টি ইউনিটের আহবায়ক কমিটিতে প্রথম সারিতে রাখার আশাবাদী ছিলেন।
সুত্রমতে, ভৌগলিক কারণে এ অঞ্চলে কমিটি দেয়া খুব একটা সহজ কাজ নয়। তাই দীর্ঘদিন কমিটির বাহিরে-ও ছিল এ অঞ্চলের অনেক উপজেলা। সেজন্য কেন্দ্রের নির্দেশে কমিটি করার সিদ্ধান্তে সীদ্ধহস্ত, ফেনী জেলা যুবদল কমিটি। এতেই শুরু হয়েছে নেতা-কর্মীদের মাঝে কমিটি গঠনের উৎসাহ-উদ্দীপনা, নেতৃত্বের প্রতিযোগীতা, এমন কি মান-অভিমান-ও। যার ফলশ্রুতিতে, তুর নিউজ নাম-এ “ফেনীতে টাকার বিনিময়ে যুবদলের কমিটি গঠনের অভিযোগ” শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ পায়।
যা নিম্নে তুলে ধরা হলঃ
একাধিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি সময়ে জেলা যুবদলের অধিনে ১১টি ইউনিটের আহবায়ক কমিটি ঘোষণার কথা শুনা গেলেও তা অদৃশ্য শক্তির ইশারায় থমকে রয়েছে। মামলার হামলার শিকার ও নির্যাতিত ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
উক্ত সংবাদ পর্যবেক্ষনে জেলা যুবদল সভাপতি বক্তব্য তুলে ধরা হলঃ
জেলা যুবদল সভাপতি জাকির হোসেন জসিম ওরফে জসিম চেয়ারম্যান বলেন, গণমানুষের দল, এদেশের আপাময় জনসাধারণের দল বিএনপি। তাই এখানে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কমীর অভাব নেই। সঙ্গতকারণে, কমিটি গঠন করতে গেলে দলের নেতৃবৃন্দকে এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখী হতে হয়। সেজন্য আমরা আমাদের সবোচ্চ বিচার বিশ্লেষনে মনোনিবেশ করে, যোগ্য নেতৃত্ব তুলে আনার চেষ্টা করছি। মনে রাখতে হবে বিএনপি একটি বড় দল এখানে কমিটি গঠনে বুঝতে হবে, ‘রাজনীতি মানে দলের মধ্যে বিক্ষোভ নয়, সমঝোতা করা। এখানে কেউ থাকবে মানে আর সবাই বেরিয়ে যাবে না। নির্বাচিত ব্যক্তি দলের মধ্যে একজনই হয়, সবাইকে নির্বাচন করা যায় না। তবে ঐ দশজনই দলের সদস্য। এদের বাদ দিয়ে কখনো দলের অস্তিত্ব চিন্তা করা যায়না। তাই রাজনীতি হোক দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, এখানে ব্যক্তি স্বার্থ নগন্য। দল জিতলেই আমরা জিতবো, এগিয়ে যাবো একদিন না একদিন।’
ফেনি পৌর যুবদল কমী দাউদুল ইসলাম টিপু বলেন, যুবদলের কমিটি নিয়ে নানা তর্ক বিতর্ক।
আমি একজন সাধারন মানুষ হিসেবে একটা কথা বুঝি যে এই পর্যন্ত ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, বিএনপি,র যত কমিটি হয়েছে যারা বাদ পডেছে তারা নানা অপপ্রচার গুলো চালাচ্ছে এর মধ্যে অন্যতম ডায়লগ টাকা দিয়ে কমিটি এনেছে। আমার জানা মতে নাম উল্লেখ করলাম না যে সকল ব্যাক্তির নামে এই এমন অপপ্রচার করেছে তাদের আর্থিক অবস্থা এতটা সচল না যে তারা টাকা ডেলে কমিটি নিবে। তবে যারা বাদ পডেছে তারা সবাই মোটামুটি কোটি টাকার মালিক আমার প্রশ্ন হল যদি টাকা দিয়ে কমিটি হত তারা বাদ পডলো কেন?? আর আপনি নেতার বাসায় মিষ্টির পেকেট, মোবাইল, ঘডি, শার্ট, পেন্ট, নেতার বৌয়ের জন্য শাড়ি, কসমেটিক, নেতার বাচ্ছার জন্য চকলেট, খেলনা নিয়ে যাবেন প্রতিদিন। নেতাকে চোখ লজ্জায় পেলে কমিটি নিতে চাল চালবেন। নেতা তা তোয়াক্কা না করে আপনার মনমত কমিটি গঠন না করলে আপনি রাস্তায় মাইক হাতে বলবেন আমি এই করেছি সেই করেছি। নেতা কি আপনাকে বলেছে এগুলো করতে? পারলে প্রমান দিবেন। ভন্ডামি চেডে দিন।
যারা মূর্খ্য তারা এমন হাস্যকর কথা বলবে। আর মূর্খ্য দের থেকে যদি নেতৃত্ব আসে সে দল কখন পূর্ন্যতা পাবে না।
কিছুদিন আগে যারা সভাপতি – সাধারন সম্পাদকের এত কাছের মানুষ ছিলেন আজ তারা এত অচেনা কিভাবে হলেন??এর মানে কি দাডায়??
আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী আপনাকে কমিটিতে মূল্যায়ন করা হবে বা হচ্ছে।আপনার গায়ে জোর আছে তাই জোর খাটাবেন তাতে কাজ না হলে অপপ্রচার চালাবেন কি ভাবছেন এটা করে আপনাদের স্বার্থ হাসিল হবে ভূল ভাবনা আপনার কোন লাভ হবেনা। বলদ দিয়ে হাল চাষ সম্ভব রাজনীতিতে না।