মো. নাঈম ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ বাংলার সুয়েজ খাল খ্যাত ঝালকাঠি গাবখান নদীর উপর নির্মিত পঞ্চম চীন মৈত্রি ঝালকাঠি গাবখান সেতু। সেতুর উপর দুর্ঘটনা এড়াতে এবং চলাচলকারীদের সুবিধার্থে ৬২ টি লাইট পোস্ট স্থাপন করা হয়। বর্তমানে লাইট পোস্টের অধিকাংশই অকেজো। যে কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে এইসব লাইট পোস্ট দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু অকেজো হওয়ার ফলে দুর্ঘটনা এড়ানো যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে এই পরিস্থিতি চললেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯১৮ মিটার। দীর্ঘতম স্প্যান রয়েছে ১১৬. ২০ মিটার (যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ), নিম্নতম স্প্যান রয়েছে ৩০ মিটার, ২৪ টি পিলার ও ২ টি এ্যাবাটমেন্ট রয়েছে। ক্যারেজওয়ে রয়েছে ৭.৫০ মিটার। প্রতি পার্শ্বে সাইড ওয়াক রয়েছে ১.২৫ মিটার। ১.৫০ মিটার ব্যাসের কাস্ট ইন সিটু বোর্ডের পাইল (অবস্থান ভেদে ২ টি থেকে ৯টি পর্যন্ত) ভিত্তি রয়েছে। ভার্টিক্যাল কিলয়ারেন্স রয়েছে ১৮ মিটার। হরাইজন্টোল নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স রয়েছে ৭৬.২২ মিটার। ৮১ কোটি ৯৫ লাখ ৮২ হাজার টাকা ব্যয়ে এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতু নির্মাণের ভিত্তি ফলক উম্মোচন করে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
নিয়মিত চলাচলকারী ও স্থানীয়রা জানান, ব্রিজ উদ্বোধনের ২০ বছর অতিবাহিত হতেই বাতিগুলোর বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। সন্ধ্যা হলেই ব্রিজের উপর নেমে আসে অন্ধকার। একারণে প্রায় সময়ই ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাবিল হোসেন জানান, ব্রিজের বাতিগুলোর বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। বাতি পুনঃস্থাপনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।