মো. নাঈম হাসান ঈমন ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির কাঠালিয়ার আমুয়া বন্দর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০/১২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং ৩/৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া আমুয়া বন্দর আমির মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিন কক্ষের একটি টীনসেট কাঠের ঘর পুড়ে যায়। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ ৪জন আহত হয়েছেন। কাঠালিয়া ও বামনা ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় দিকে নেছারের খাবার হোটেল থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটেছে বলে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানান, বাজারের নৈশ প্রহরীরা বাজারে আগুন জ্বলতে দেখে ডাক চিৎকার দেয় এবং মসজিদ থেকে মাইকিং করে। প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন আসে পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে। কাঠালিয়া ও বামনা ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। ইতো মধ্যে মো. নেছারের হোটেল, আমুয়া বন্দর আমীর মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টীনসেট ৩কক্ষের একটি কাঠের ঘর, পলাশের কম্পিউটারের দোকান, মাসুদের জুতার গোডাউন, বাবুলের গামের্ন্টস পোষাকের দোকান ও বাবুলেনর জুতার দোকান, শাহজাহানের মুদি দোকানসহ ৬/৭টি দোকান পুড়ে যায়। স্থানীয়দের মতে এ অগ্নিকান্ডে এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কাঠালিয়া ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, রাত ১২ দিকে আগুণ লাগার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং আগুণ নিয়ন্ত্রণের চ্ষ্টো চালাই। পরে বামনা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আমাদের সাথে যোগ দেয়। দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুণ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। এতে প্রাথমিক ভাবে ৩৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছি।
ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুফল চন্দ্র গোলদার ও থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুরাদ আলী।