খুলনা প্রতিনিধিঃ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রা পাইকগাছা ও দাকোপে জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে অন্তত বৃষ্টির জায়গা বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে পানিবন্দি হয়েছেন। কয়েক হাজার মানুষ। আইলা, সিডর, মহাসেন, ফণী, আম্পানের মতো সাইক্লোনগুলোর ক্ষত চিহ্ন রয়েই গেছে উপকূলের বেড়িবাঁধে। দফায় দফায় বরাদ্দ হলেও হয়নি যথাযথ সংস্কার। ফলে জরাজীর্ণ দুর্বল বেড়িবাঁধগুলো অপেক্ষাকৃত কম শক্তির জলোচ্ছাসও সইতে পারছে না। সর্বশেষ, গত বুধবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মৃদু আঁচ লাগলেও এ থেকে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস ভাসিয়ে নিয়ে গেছে খুলনা, উপকূলের এই তিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়ি, মৎস্য ঘের, ফসলি জমি। গত দেড় দশকে দুর্যোগের ভয়াবহতা বাড়লেও সেই ষাটের দশকে নির্মিত জরাজীর্ণ এসব বেড়িবাঁধ জানমাল রক্ষায় কোনো কাজেই আসছে না। উপকূলের দরিদ্র মানুষের জীবন আরও বিপন্ন করে তুলছে নাজুক বেড়িবাঁধগুলো।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা খুলনা উপকূলে উপজেলার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয় সেই ষাটের দশকে। এসব বাঁধ ছিল ১৪ ফুট উঁচু ও ১৪ ফুট চওড়া। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বাঁধের অর্ধেকও এখন আর অবশিষ্ট নেই। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নিম্নচাপ, লঘুচাপ, অমাবস্যা-পূর্ণিমার জোয়ারে গ্রামে পানি ঢোকা ঠেকাতে পারছে না বাঁধগুলো।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, এবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় নদীগুলোতে জোয়ারের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৬ ফুট বেড়ে যায়। ফলে অনেক স্থানে বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া অসংখ্য স্থানে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে লবণ পানি ঢুকেছে।