মো আব্দুল হালিম:
আজকে ৬অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেইসবুকে দেখতে পাচ্ছি অনেক নারীদের প্রোফাইলে অন্ধকারের ছবি।এটা কেন আশাকরি কারো বুঝতে কষ্ট হবে না। বলার বাকি রাখে না যে এটা পুরুষ জাতির জন্য কতোটা অপমানজনক। যে সত্যিকার অর্থেই পুরুষ এই নীরব প্রতিবাদ টা তাকেই আকৃষ্ট করবে। ছোটবেলা থেকে জেনে আসছি আইয়ামে জাহেলিয়া,৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গন অভ্যুত্থান ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ -এর কথা। কিন্তু বাস্তবে যা দেখছি আমার কল্পনাগুলোকে ও হার মানায়। কাহিনী যেনে, কখনো ভয় পেয়েছি, কখনো দেখার আগ্রহী হয়েছি কখনো সময়ের সাথে সাথে প্রতিশোধের আগুনে জ্বলেছি। কিন্তু এই সবগুলো কে পিছনে ফেলে আজ আমি অধিক আগ্রহভরে বলছি সবকিছুর চাইতেও আমার দেশের বর্তমান পরিস্থিতি আমাকে কাদাঁয় কখনো হুংঙ্কার দিতে মন চায় কে আমার দেশের শাসক, কে আমার দেশ পরিচালনা করে আর কেহই বা আইন প্রণয়ন করে….?
আমার বাংলাদেশের সকল মানুষ এখনো স্বাধীনতা পায় নি, যদি পেত তাহলে দিনের পর দিন নির্যাতনের স্বীকার হয়েও মুখ বন্ধ করে থাকতে হতো না।
অনেকের অপরাধ হাজারো প্রমাণে প্রমাণিত হয়েও সে অবাধে চলাফেরা করছে, নেই সঠিক বিচার, নেই আইনের সঠিক প্রয়োগ।
আমি আজ লজ্জিত! আমি প্রতিনিয়তই অপমানিত, বারবার মনে প্রশ্ন, কেন আজ নারীরা এতো অপমানিত, লাঞ্ছিত, ধর্ষিত…? যে দেশের সরকার প্রধান নিজেই একজন নারী।
সবার সাথে আমিও গাইতাম,আমার দেশের রাণী কতইনা মমতাময়ী, কত আদর্শবান,কতো স্বচ্ছ, মাঝেমধ্যে কষ্ট করেও উচ্চারণ করতাম “মাদার অব হিউমেনিটি” কিন্তু সবকিছুতেই যে ভেজাল আগে বুঝিনি।
দালালরা আমার লেখা পড়ে বিপক্ষে কঠোর অবস্থান নিবে। আর যারা প্রকৃত দেশ প্রেমিক, প্রকৃত ন্যায় বিচারকামী তারা অবশ্যই আমার সাথে সহমত পোষন করবে।
বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ। তারপরেও কেন দলের স্বচ্ছতার জন্য ধর্ষনকারীদের দল থেকে বহিষ্কার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না? নাকি বড় বড় নেতৃবৃন্দের ইশারায় এসব হচ্ছে আমার বুঝে আসছে না। ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্য করে বলার কারণ হচ্ছে দেশের এমন পরিস্থিতিতে তারা যে কোন দলকে জবাবদিহিতায় রাখতে পারেন,যে কোন আইন বাতিল বা প্রণয়ন করতে পারেন, যে কোন অপরাধীকে শাস্তি দিতে বা গোপন রাখতে পারেন। তাই বলছি এখনো সময় আছে সময় উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহন করুন।
আমি শুধু আওয়ামীলীগ কে বলছিনা সকল দলের উদ্দেশ্যেই আমার বক্তব্য অনুরূপ। আমার মতে সর্বোচ্চ সম্মানিত স্হান মসজিদ, মন্দির,গির্জা, এগুলোও কেনো আজ ধর্ষনের স্হানে পরিণত হয়েছে? এগুলোর ও তো পরিচালক রয়েছেন তারা কি তাদের স্বচ্ছতা প্রমান করতে পারেন না…? প্রশ্নগুলো করেই যাচ্ছি উত্তর এ জনমে আশা করা যায় না।
বিশেষকরে এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্হক্ষেপ কামনা করছি। আমার বিশ্বাস আপনি চাইলে মুহুর্তেই দেশের অপরাধ, অপকর্মগুলো চিরতরে বন্ধ করে দিতে পারেন। দেশে তো প্রতিদিন ধর্ষনের ঘটনা ঘটছে। কয়টার বিচার হচ্ছে….? আর যেগুলোর বিচারের রায় ফাসি হচ্ছে সেগুলোর বাস্তবতা তো দেখতে পাচ্ছি না। এটা শুধু আমার কথা না সাধারণ জনগনের কথা। দেশের আইনের সংশোধনী এখন সময়ের দাবী। ধর্ষনের শাস্তি জন সম্মুখে দিতে হবে, এগুলোর ভিডিও ভাইরাল করতে হবে,ফাসির আদেশ হলে সাথে সাথেই কার্যকর করতে হবে। তাহলে হয়তো দেশটা সত্যিই উন্নয়নের দিকে এগুবে। আর কতো নারীর সম্মানকে পুঁজি করে দেশ ডিজিটালের সীমা অতিক্রম করবে? এখনো সময় আছে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগনের স্বার্থে দেশের সেবা করুন। নয়তো জনগনই সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন ইতিহাস রচনা করবে।
তাই সাবধান করে বলছি জনগনের ইচ্ছেগুলোর প্রতি একটু আন্তরিক হয়ে কাজ করুন, বছরের পর বছর ক্ষমতায় থাকলেও দেশের জনগন আপনাকেই চাইবে। এটা আমার আত্ন বিশ্বাস। সত্য বলে যদি হারিয়ে যাই, তারপরেও আমি আমার অবস্থানে অটল থাকবো। তবে সকলেরই মনে রাখা উচিৎ কাউকে ধ্বংস করা সহজ কিন্তু সৃষ্টি করা কঠিন।
Leave a Reply