পুলিশের দাবী রাসেল হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে।
মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত পোষাক শ্রমিক রাসেলকে তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠিতে দাফন করা হয়েছে। সোমবার কল-কারখানার শ্রমিকদের আন্দোলন চলাকালে পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে রাসেল নামের ২৬ বছর বয়সী এই শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
নিহত শ্রমিক রাসেল হাওলাদার (২৬) ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনয়কাঠি গ্রামের আব্দুল হান্নান হাওলাদারের ছেলে। গাজীপুরে “ডিজাইন এক্সপ্রেস লিমিটেড” নামের একটি কারখানায় কাজ করতো রাসেল। সে ঐ কারখানাটির ইলেকট্রিশিয়ান পদে কর্মরত ছিল। গাজীপুরে গাছা থানাধীন মালেকের বাড়ি এলাকায় একটি মেসে ভাড়া থাকতেন রাসেল। এ তথ্য জানিয়েছে নিহত রাসেলের সহকর্মী মো. আবু সুফিয়ান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সারে ৭ টার কিছু আগে রাসেলের মরদেহ আনা হয় ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাউকাঠি গ্রামে। সেখানে মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসা ময়দানে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয় রাসেলকে।
নিহত রাসেলের বাবা আব্দুল হান্নান হাওলাদার জানান, ৪ বছর আগে জীবিকার তাদিগে গাজীপুরে চাকুরীতে যায় রাসেল। মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গাজীপুরে সাতদিন ধরে বিক্ষোভ করছিলো বিভিন্ন কল-কারখানার শ্রমিকরা। সোমবার বিক্ষোভ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা একটি পিকআপ ভ্যান, পুলিশ বক্স ও দুটি পোশাক কারখানায় আগুন দিয়েছে। আগুন নেভাতে গেলে ভাঙচুর করা হয় ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে তখন কারখানার সামনেই পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এতে রাসেল বুকের ডান পাশে এবং ডান হাতে গুলিবিদ্ধ হন। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তায়রুন্নেছা মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজে এবং পরে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে পুলিশের দাবী রাসেল হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে। রাসেলের মৃত্যুর পর সোমবার বিকেলে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার ইব্রাহিম খান বলেন, তায়রুন্নেছা মেডিক্যালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাসেল হাওলাদারের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। পরে ঢাকা মেডিক্যালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।