1. admin@asianexpress24.com : admin :
  2. asianexpress2420@gmail.com : shaista Miah : shaista Miah
রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নড়াইল মুক্ত দিবস পালিত রাজাপুরে ১শত ৮ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি আটক মানসিক ভাবে অসুস্থ এই ব্যক্তিকে তার পরিবারে পৌঁছে দিন জেলা পর্যায়ে শেষ্ঠ জয়িতা হলেন রাজাপুরের নাজনীন পাখি লোহাগড়ায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত ফুলবাড়ীতে পৃথক ২টি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত-২ লোহাগড়ায় রোকেয়া দিবস পাল বিশ্বনাথে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে বৈশ্বিক কর্মসূচী পালিত  গুয়াহাটিতে কোটি টাকার কোকেন উদ্ধার, ২ জন গ্রেফতার খুলনার রুপসায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ৯ পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা, বহিষ্কার-৩ ঝালকাঠিতে মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ঝালকাঠিতে ১কেজি গাঁজা সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক লোহাগড়ায় মুক্ত দিবস পালিত মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৯ শিশুর মৃত্যু

খুলনায় মায়ের মরদেহ আটকে রেখে দুই ছেলেকে পুলিশে দিলো চিকিৎসকরা

  • Update Time : রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২২
  • ১০০ Time View

মোঃআশরাফুল ইসলাম,
খুলনা সদর প্রতিনিধিঃ

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মায়ের মরদেহ আটকে রেখে দুই ছেলেকে পুলিশে দিয়েছেন ইন্টার্ণ চিকিৎসকরা। নগরীর দৌলতপুরের পাবলা কারিকর পাড়ার মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের (৬৭) স্ত্রী পিয়ারুন্নেছা (৫৫) সোমবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। চিকিৎসায় অবহেলার কারণে মায়ের মৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগ এনে ইন্টার্ণ চিকিৎসক কামরুল হাসানের সাথে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে মো. মোস্তাকিমের। এ ঘটনায় তার অপর দুই ভাইকে পুলিশে দেন চিকিৎসকরা।

মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমার স্ত্রীর বুকে ব্যাথা ও পায়খানা-প্রসাব না হওয়ায় শুক্রবার রাতে মেডিকেল হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ১১-১২ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সে রাতে চিকিৎসা করা হয়েছে। শনিবার রাতে আমার স্ত্রীর অবস্থা গুরুতর হলে আমার ছেলে ডাক্তার ডাকতে যায় কিন্তু কোন ডাক্তার আসেনি। রোগীকে নিয়ে যেতে বলে। ছেলে বলে রোগীকে কি করে আনবো তিনি তো মোটা মানুষ আনা সম্ভব নয়। ডাক্তার তখন কাগজপত্র আনতে বলেন। কাগজপত্র দেখে ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন সব তো ঠিক আছে। রোগী দেখতে কেউ আসে নি। এরপর রাতে ছটফট করতে করতে আমার স্ত্রী মারা যায়। মায়ের এমন মৃত্যুতে আমার ছেলে মো. মোস্তাকিম গিয়ে ডাক্তারের কাছে জানতে চান তারা কেন দেখতে আসলেন না। এ নিয়ে আমার ছেলের সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয় চিকিৎসকের। আমি যখন জানতে পারি গিয়ে হাত পায় ধরে মাফ চাই। বলি আপনারা তো বোঝেন মা মারা গেছে তাই ওদের মাথা ঠিক নেই আপনারা মাফ করে দেন। এসময় একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক আমার গায়েও আঘাত করেন। অপর দুই ছেলে মোঃ তরিকুল ইসলাম কাবির ও সাদ্দাম হোসেনকে পুলিশে দিয়ে দেন। তারা বর্তমানে সোনাডাঙ্গা থানায় আটক রয়েছেন। আর আমার স্ত্রীর লাশও হাসপাতালে আটকে রাখা হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিল শামছুদ্দিন আহমাদ প্রিন্স ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আসলেও তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের ভাইয়ের ছেলে মামুন বলেন, আমার চাচীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাই মোস্তাকিমের সাথে ইন্টার্ন চিকিৎসক কামরুল হাসান ও তার সাথের লোকদের সাথে সামান্য হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় তারা অপর চাচাতো ভাই সাদ্দামকে মেরে জামা কাপড় ছিড়ে ফেলে এবং মোঃ তরিকুল ইসলাম কাবিরকে গালাগালি দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। আমরা স্বজনরা চাচীর লাশের কাছে যেতে চাইলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেলা ১১টা পর্যন্ত আমাদের ভিতরে যেতে দিচ্ছে না।

এ বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক কামরুল হাসানের সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

তবে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, মানুষ মারা গেলে একটি প্রসিকিউট আছে। সে অনুযায়ী মরদেহ ছাড়তে হয়। লাশ আটকানোর তো কিছু নেই। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য পুলিশ তাদের নিয়ে গেছে। আমরা কোন জিডি বা মামলা করিনি তাদের বিরুদ্ধে। তবে এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অমানবিক ঘটনার তীব্র সমালোচনা বয়ে চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Customized By BreakingNews