সমুজ আহমদ সায়মন বিশ্বনাথ (সিলেট) থেকেঃ তফসীল অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলতি বছরের মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে শুরু হয়ে শেষ করতে হবে জুনের আগেই। আর তাইতো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রার্থী ও জনগনের মধ্যে আলোচনা,সমালোচনা,বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে।কে হবেন খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদের আগামী দিনের চেয়ারম্যান। চায়ের দোকান,বাজার, হাটে, মাটে, গ্রাম গনজে, পাড়া মহল্লায় সর্বত্র চলছে আলোচনার ঝড়। এরই প্রেক্ষিতে বিশ্বনাথ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বইছে আগাম নির্বাচনী হাওয়া। আর এবার নির্বাচনে প্রার্থীদের দৌড়ে পুরাতনের পাশাপাশি একাধিক নতুন মুখ।যার অধিকাংশই তরুন।আর তাতেই পুরাতনের সাথে নতুনদের আগমনের বার্তা বেশ আগ্রহ যোগাচ্ছে স্থানীয়দের মনে। নিজ নিজ অবস্থানে থেকে প্রচার প্রচারনায় ব্যাস্ত রয়েছেন প্রার্থীরা। ইউনিয়ন বাসীকে নিয়ে তাদের পরিকল্পনাও তুলে ধরেছেন বিভিন্ন সভা সমাবেশে। মত বিনিময় করছেন গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে।এবারের খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী ছয় জনের নাম শোনা গেলেও মাঠে একজনের উপস্থিতি নাই বললেই চলে । অন্য একজনের উপস্থিতি থাকলেও প্রচার প্রচারনায় রয়েছে শিথিলতার ভাব। সব মিলিয়ে এবারের নির্বাচনে রয়েছেন, বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন ও মোহাম্মদ কয়েছ মিয়া,স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল উদ্দিন রেজা, আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী গতবারের নৌকা প্রতিকের পরাজিত শংকর চন্দ্র ধর, তরুন মুহিবুর রহমান সুইট ও বৃহত্তর সিলেট আওয়ামী পরিবার জেদ্দা সৌদি আরবের সভাপতি,স্বল্প সময়ে খাজাঞ্চি ইউনিয়নের সব শ্রেনি পেশার মানুষের আস্থা ও ভালবাসা সিক্তহওয়া,দানবীর, আলহাজ্ব আরশ আলী গনি।। ইউনিয়ন বাসীর ধারনা আলহাজ্ব আরশ আলী গনি আগামী দিনের নির্বাচনে জয়লাভের দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে আছেন। এবং তাকেই ইউনিয়ন বাসী চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়।কেন তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় তার কারন খোঁজতে গিয়ে সরেজমিনে প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ;বৈশ্বিক মহামারী করোনা কালীন সময়ে প্রতিষ্ঠিত গরীব অসহায় ও করোনা রোগীদের ফ্রী এম্বুলেন্স সার্ভিসের মাধ্যমে সেবা দেয়া মূলক সংগঠন শেইভ ট্রাস্টের মাধ্যমে হাসপাতালে রোগী বহনের ব্যাবস্থা করেছেন।
আলহাজ্ব আরশ আলী গণী তার নিজস্ব অর্থ দিয়ে সমাজ সেবার কারণে সাধারণ মানুষের কাছে তিনি একজন অত্যন্ত আস্থাভাজন ব্যাক্তি হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন । দল মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ তার আচরণে মুগ্ধ ।একজন তরুণ রাজনীবিদ ও সমাজ সেবক হিসেবে জনপ্রতিনিধি না হয়েও দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে জনগনের সেবায় নিয়োজিত রেখেছেন ।সাধ্য অনুযায়ী মানুষকে সাহায্য সহযোগীতা সহ বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসা মসজিদ মন্দির রাস্তা ঘাট ব্রীজ কালভাট মেরামতে যথা সাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন ।আর এ কারণেই ইউনিয়নের মানুষ গরীবের বন্ধু আরশ আলী গণীকে আগামী দিনে খাজাঞ্চী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় ।
বিশেষ করে বৈশিক মহামারী করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যার সময় কর্মহীন ইউনিয়নের প্রায় ৩৬ শত গরীব অসহায় পরিবারকে নিজ অর্থায়নে চাল, ঈদে ঈদ সামগ্রী ও রমজানে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
গরীর ধনী ফকির মিসকিন সব মানুষ তার কাছে সমান। তার কাছে কোন প্রার্থক্য নেই। কারন সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
তিনি একজন আল্লাহ ভীরু মানুষ,নামাজী,সৎ এবং যোগ্য বিধায় ইউনিয়নবাসীর ন্যায্য অধিকার আত্মসাৎ করার কোনো মন মানসিকতা নেই তার মাঝে।
তিনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে যা সম্মানী ভাতা পাবেন তা গরীব ও অসহায় মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিবেন বলে আশ্বস্তও করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়নের একজন অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা বলেন; আবেগই উন্নয়নের অন্তরায়। আর এই আবেগই ইউনিয়ন তথা বিশ্বনাথ বাসীকে বার বার উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করেছে।তাই আবেগে বশবতী না হয়ে বাস্তবতার নিরিখে স্রোতের তালে নির্বাচনে যোগ্য চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা আমাদের সকলের জন্য সময়ের দাবী।
সবজী চাষী বলেন; যে মানুষ ১০০ বস্তা চাউল দিত পারে সে মানুষ কোন সময় গরীবর ৫ বস্তা চাউল আত্মসাৎ করতে পারেনা। আর এই মানুষ হলো আরশ গনী।তাকে এবার ভোট দিতে আর ভূল করবোনা।
তাইতো এসব কাজের জন্য ইউনিয়নের মানুষ আলহাজ্ব আরশ আলী গণীকে সবার চেয়ে এগিয়ে রাখছেন এবং তারা আশাবাদ ও ব্যক্ত করেছেন, আগামী দিনে খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আরশ আলী গণীর বিজয় হবে ।ইনশাল্লাহ ।