মির্জা মাহামুদ হোসেন রন্টু নড়াইলঃ
সাংবাদিক সমাজ যারা ছিলেন তাদের সাথে কথা হয়েছে, ডিলারের সাথে কথা হয়েছে, কৃষি ডিপার্টামেন্টের সাথেও কথা হয়েছে। আমরা একটা জিনিস প্রত্যাশা করি নড়াইল একটি শান্তিপূর্ণ জেলা। এধরনের ছোটখাটো বিষয় স্থানীয়ভাবে যেন শেষ হয়। আমি কিছুক্ষণ আগেই যে কথাটি বলছিলাম বিক্রেতাকে হতে হবে সবচেয়ে বেশি ধর্যশীল। ক্রেতা অনেক ধরনের আসতে পারে, ক্রেতা অনেক কথা বলবেন, মন্তব্য করবেন, ক্রেতার চাহিদা অনেক ধরনের থাকে। কিন্তু বিক্রেতাকে হতে হবে সবচেয়ে বেশি ধর্যশীল। এ ধরনের ভুলত্রুটি ভবিষ্যতে আর যেন না হয়, আমরা সেটাই মূলত: বলে যাচ্ছি, পারসনালি বলে যাচ্ছি এবং ডিপার্টামেন্টকেও বলে যাচ্ছি। আমাদের ডিলার সাহেবকেও বলেছি যে যারা দোকানে থাকেন, যে ম্যানেজার বা কর্মচারী থাকেন সে যেন ‘কৃষকের সাথে কোন ধরনের মিসবিহ্যাব না করেন’। কৃষকদের সবচেয়ে বেশি সম্মান দিতে হবে। কারন হলো একটাই বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার, কৃষিকে সর্ব্বোচ্চ প্রাইরটি দিচ্ছে সরকার এবং এই যে ভুর্তকিমূলক সার দেয়া হচ্ছে এ কিন্তু কৃষকের স্বার্থেই দেয়া হচ্ছে। দেশের উৎপাদনশীলতার স্বার্থে এখানে যদি কেউ কিছু করবার চেষ্টা করে সরকার তা স্পেয়ার করবে না। সুতরাং এটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা আজকের সকলের বক্তব্যগুলি শুনেছি, আমরা অথোরটির কাছে রিপোর্ট সাবমিট করবো। ধন্যবাদ সকলকে।
নড়াইলের উজিরপুর গ্রামের কৃষক আলী মোহাম্মদ মন্ডল ‘লাঞ্ছিত’ এর ঘটনার ৪৭দিন পর সরেজমিনে মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) তদন্ত এসে কৃষক লাঞ্ছিত ঘটনার সাথে ব্যক্তিবর্গ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য গ্রহণ শেষে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর কৃষি মন্ত্রণালয় যুগ্ম সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া এসব কথা সাংবাদিকদের সামনে বলেন।
এর আগে মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় নড়াইল জেলা প্রশাসকরে সম্মেলন কক্ষে তিনি কৃষক লাঞ্ছিত ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য গ্রহণ করেন।
ঘটনা সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করেন, লাঞ্ছিত কৃষক আলী মোহাম্মদ মন্ডল, সার ডিলার হাসানুজ্জামানের ম্যানেজার হিরামন অধিকারী, সার ডিলার মো. হাসানুজ্জামান, নড়াইল জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সাইফুল, সার ডিলার আইয়ুব খান ভুলু, সার ডিলার হাবিবুল্লাহ বাহার, মো: হাফিজুর রহমান মল্লিক, সাপ্তাহিক নড়াইলকণ্ঠ ও অনলাইন সংস্করণ পত্রিকার সম্পাদক মানবাধিকার কর্মী কাজী হাফিজুর রহমান, ওই পত্রিকার সহকারি সম্পাদক কাজী আনিচুজ্জামান, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার কৃষি প্রতিনিধি তাজুল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। প্রায় আড়াইঘন্টা ব্যাপী উল্লেখিত ব্যক্তিদের মুখ থেকে কৃষকের সাথে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলি কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া মনোযোগসহকারে শোনেন এবং তা লিপিবদ্ধ করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায়, সদর উপজেলার ইউএনও সাদিয়া ইসলাম, সদরের কৃষি অফিসার রোকনুজ্জামান, বিএডিসির (সার) উপ-সহকারি পরিচালক সুবাস চন্দ্র সরকার, বিএডিসির (বীজ) এর উপ-সহকারি পরিচালক শ্রীবাস সরকার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ‘কৃষক লাঞ্ছিত, সারের ডিলারের বিচার দাবী’ শিরোনামে নড়াইল জেলার জনৈক আলী মোহাম্মদ নামীয় কৃষককে সার কেনার সময় সংশ্লিষ্ট সার ডিলার কর্তৃক লাঞ্ছিত করাসহ কৃষকের নিকট হতে সার ক্রয় বাবদ অধিকমূল্য আদায়ের চেষ্টা করা হয় মর্মে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদের বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় পরিকল্পনা-২ অধিশাখার যুগ্মসচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়াকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নড়াইল পৌরসভার আলী মোহাম্মদ মন্ডল সার কিনতে আসলে সার ডিলার হাসানুজ্জামানের ম্যানেজারে দ্বারা ওই কৃষক লাঞ্ছিত হন।