কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ- কুড়িগ্রামে উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে মেয়ের প্রেমের বিয়েকে অপহরণ মামলার ঘটনায় ছেলের চাচা সহ থানায় আটক দুই। গ্রেফতার এড়াতে ছেলের আত্মীয়রা গৃহছাড়া রয়েছেন।
জানা যায়, উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের কামদেব এলাকার বেনু চন্দ্র ঝাঁ এর কন্যা দিপ্তি রানী ঝা (১৯), রাজাহাট উপজেলার বালাকান্দি’র নলকাটা গ্রামের মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান দুলালের পুত্র আসাদুজ্জামান (২০) এর সাথে দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এক পর্যায়ে বিষয়টি মেয়ের বাসায় জানাজানি হলে মেয়ের অভিভাবক তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। বাধ্য হয়ে দিপ্তি রানী ঝাঁ (১৯) নিজের ভালোবাসাকে স্বীকৃতি দিতে গত ০৮/০৩/২০২১ ইং তারিখে কুড়িগ্রাম নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে নিজে ধর্মান্তরিত হয়ে মোছাঃ সুমাইয়া বেগম হিসেবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে আসাদুজ্জামানের সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। ঘটনাটি মেয়ের পরিবার জানার পরে দিপ্তি রানী ঝাঁ ওরফে সুমাইয়াকে হুমকি ধামকি দিতে থাকলে দিপ্তি রানী তার প্রেমের সম্পর্ককে স্থায়ী রুপ দিতে ঢাকাস্থ গাজীপুরে গত ১৬/০৩/২০২১ ইং বিবাহ রেজিস্ট্রি করে। পরে তাদের বিবাহের বিষয়টি পরিবার এবং জনসম্মুখে প্রকাশের উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ভিডিও বার্তা আপলোড করে আত্মগোপন করেন।
এরই প্রেক্ষিতে মেয়ের বাবা বেনু চন্দ্র ঝাঁ উলিপুর থানায় বাদী হয়ে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় উলিপুর থানা পুলিশ ছেলের চাচা আহাম্মদ আলী এবং ফুফাতো ভাই রাশেদকে গ্রেফতার করে।
ছেলের পরিবার দাবি করে, তাঁরা দুজনেই সাবালক। এটি অপহরণের ঘটনা না হলেও আমাদের হয়রানির উদ্দেশ্যে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের ভয়ে আমরা এখন বাড়ি ছাড়া। ছেলে-মেয়েকে খুঁজে না পাবার কারণে জামিনের বিষয়টিও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, ছেলেমেয়ের ভিডিও বার্তা ভাইরাল হওয়ায় উক্ত ঘটনাটি রাজারহাট এবং উলিপুরে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিতে মামলার বাদী বেনু চন্দ্র ঝাকে একাধিকবার ফোন দিলে তারঁ ফোনটা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ অপহরণ মামলার সত্যতা স্বীকার করেন।