এইচ এম বাবুল জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম:-৬ আগস্ট শনিবার থেকে সারা দেশের ন্যায় কুড়িগ্রাম জেলার পৌরসভাসহ ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। টিকা প্রদান কেন্দ্রে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।
জেলার ৯ উপজেলার ৭৩টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভার ৮৪টি কেন্দ্রের মাধ্যমে মোট ৪৬ হাজার ৮শত জনকে টিকা প্রদান করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কুড়িগ্রাম পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে এ গণটিকা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, সিভিল সার্জন ডা: হাবিবুর রহমান, পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি অ্যাড: আহসান হাবীব নীলু প্রমুখ। পরে তারা বিভিন্ন টিকা প্রদান কেন্দ্র ঘুরে দেখেন।
এ কর্মসূচিতে এর আগে প্রত্যেকটি টিকাদান কেন্দ্রে বিভিন্ন বুথে সকাল থেকে মানুষের স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহণে রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম চলে। তবে কেন্দ্রগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রেজিষ্ট্রেশনকৃত বয়স্ক ব্যক্তি, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের টিকাদান কর্মসূচি চলতে থাকে। ২৫ বছরের কম ও সদ্য মা হওয়া নারীদের ফিরিয়ে দেয়া হয়।
সকাল থেকে লম্বা লাইন। টিকা প্রদানের বুথ মাত্র একটি হওয়ায় সময় লাগছে অনেক বেশী। ফলে আগতদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। টিকা নিতে আসা একজন বলেন, টিকা নিতে আসলাম কিন্তু এখানে অনেক ভীড়।
কুড়িগ্রাম পৌরসভার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, শুনেছি সকাল থেকে টিকা দেয়া শুরু হবে। তাই অনেক মানুষ সকাল থেকেই এসে ভীড় করেছেন। এতো ভীড় হবে আমরা বুঝতে পারিনি।
পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা বলেন, টিকা নেবার ক্ষেত্রে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে, জনগণ খুব আগ্রহ নিয়ে টিকা নিতে আসছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেছি।
কুড়িগ্রাম মেয়র কাজিউল ইসলাম বলেন, পর্যাপ্ত টিকা পৌরসভার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ পেয়েছি। তবে টিকা প্রদানকারীদের আজকে সকালে প্রশিক্ষণ দিয়ে কার্যক্রম শুরু করায় টিকা প্রদান প্রায় ঘন্টা খানেক বিলম্ব হয়েছে। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আরও আগে করলে এই অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্ব হতো না।
সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, জেলার তিনটি পৌরসভাসহ ৯ উপজেলার ৭৩টি ইউনিয়নে একযোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একদিনে মোট ৪৬ হাজার ৮শত টিকা প্রদান করার টার্গেট নেয়া হয়েছে। যাদের রেজিস্ট্রেশন করা আছে তাদেরকে পরবর্তীতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতালে টিকা দেয়া হবে। কাজেই হতাশার কিছু নেই। সবাইকে টিকা প্রদান কর্মসুচির আওতায় আনা হবে।