এইচ এম বাবুল, কুড়িগ্রাম
গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা। পাইকারী বাজারে বেড়েছে ৫০ কেজির বস্তাপ্রতি ১৫০ থেকে ২ শত টাকা। এভাবে চালের দাম বাড়ায় মে বেকায়দায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন।
আজ রবিবার কুড়িগ্রামের চালের বাজারে গিয়ে দেখা যায় মোটা ও স্বর্ণা চাল বাজারে নেই। এই সুযোগে খুচরা বাজারে ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা, জিরা শাইল ৫০ টাকা, মিনিকেট ৫৬ টাকা,মিনিকাটারী ৬০ টাকা দরে। অন্যদিকে পাইকারী বাজারে গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম ২৮ চাল ৫০ কেজির বস্তাপ্রতি ১৫০ টাকা বেড়ে ২২৫০ টাকা, জিরাশাইল ২ শত টাকা বেড়ে ২৩৫০ টাকা,মিনিকেট ২৩০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫৫০ টাকা ,মিনি কাটারী ২২৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
চালের দাম বাড়ার বিষয়ে পাইকারী ব্যবসায়ীরা বৃষ্টি আর বন্যার কারন উল্লেখ করে জানান, বেশির ভাগ চাল আসে দিনাজপুর থেকে। সেখানেই বস্তা প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেনা বেশী নেয়া হচ্ছে।সেই সাথে তারা জানান ধান পাওয়া যাচ্ছে না। মোকামে চালের দাম বেশী হওয়ায় তার প্রভাব খুচরা বাজারে পড়ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
খাদ্য উদ্বৃত্ত এ জেলা থেকেই যেখানে প্রতিদিন ট্রাকে ট্রাকে চাল অন্য জেলায় যায় সেখানে কুড়িগ্রামে হঠাৎ করে চালের দাম বৃদ্ধিকে অবাস্তব বলে মনে করেন ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা ও গণ কমিটির সাবেক সভাপতি তাজুল ইসলাম।
অন্যদিকে বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে সরকারী খাদ্যগুদামে প্রতি কেজি চার ৩৮ টাকা কেজি দরে কেনার ফলে বাজারে মোটা ধানের কৃত্রিম সংকটকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা চালের বাজার উর্দ্ধমূখী তৈরী করছেন।
এদিকে চালের দাম এভাবে লাফিয়ে বাড়ায় নিম্ন আয়ের লোকজন ও সাধারন ক্রেতারা পড়েছেন অনেকটা বিপাকে।তারা বলছেন এভাবে এই করোনা আর বন্যার সময় আলু পিঁয়াজ আর সব্জির মত সব কিছুর সাথে যদি চালের দামটাও নিয়ন্ত্রনের বাইরে যায় তাহলে কষ্টের আর শেষ থাকেনা।