মির্জা রন্টু নড়াইলঃ নড়াইলের কালিয়ার গ্রামে আলমগীর গাজী নামে এক প্রতিবন্ধীর বসত বাড়ির জমি দখলসহ জীবন নাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। কর্মক্ষমহীন শারীরিক প্রতিবন্ধী আলমগীর গাজীর বাড়ি উপজেলার নড়াগাতি থানার ডুমুরিয়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত আজাহার গাজীর ছেলে। নড়াগাতি থানা পুলিশসহ স্থানীয় সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে গত ৬ মাস ধরে ঘুরেও কোন প্রতিকার পায়নি। তাই গত ৩ জুন তিনি প্রধানমন্ত্রী, নড়াইলের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। প্রতিবেশী রুহুল আমিন গাজীর অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিবন্ধী অলমগীর অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়,প্রায় ৮বছর আগে ব্রেইনষ্টোক রোগে আক্রান্ত হয়ে মো.আলমগীর গাজীর (৩৫) ডান হাত ও পা অবস হয়ে গেছে। স্ইে সুযোগে তার প্রতিবেশী চাচাতো ভাই মৃত মোজাহের গাজীর ছেলে রুহুল আমিন গাজী তার পৈত্রিক বসত ভিটা সংলগ্ন ৫০ শতক জমি জবর দখল করে জমির ওপর তার পিতার অর্জিত ফলদ বৃক্ষাদি জোর করে ভোগদখল করছে। স্থানীয় সমাজপতিদের কাছে ধরনা দিয়ে প্রদিকার না পেয়ে তিনি নড়াগাতি থানায় অভিযোগ দেয়।এরপর ২৮ মে পুলিশ আইনজীবিদের নিয়ে মিমাংশার জন্য শালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। পুলিশ ও সালিশরা রুহুল আমিনকে আলমগীরের বসত ভিটার জবরদখলকৃত জমি ছেড়ে দিতে বলেন।তবে রুহুল আমিন তা অমান্য করাসহ ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিনই প্রতিবন্ধী আলমগীরের বসত ভিটা সংলগ্ন আরও জমিতে খুটি পুতে দখল করে নিয়েছে। শুধু তাই নয় জমি দখলের প্রতিবাদ করলে ওই প্রতিবন্ধীকে খুন করে মাটিতে পুতে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইনজীবি ও শালিশদার অ্যাড. ননী গোপাল ঘোষ বলেন, ‘শালিশ বৈঠক থেকে প্রতিবন্ধির জমি ছেড়ে দিতে বলা হলে রুহুল আমিন সে সিদ্ধান্ত অমান্য করে।’
আলমগীর গাজী অভিযোগ দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন,‘ অভিযোগ দায়েরের পর রুহুল আমিন তার বসত ভিটার আরও জমিতে খুটি পুতে দখল করে নিয়েছে।এছাড়া ফলমূল কেটে নেয়াসহ নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় জীবন বাঁচাতে আমাকে পৈত্রিক ভিটা ছেড়ে চলে যাওয়া ছাড়া তার আর কোন উপায় নেই।’
রুহুল আমিন গাজী প্রতিবন্ধীর বাড়ির জমি দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন,‘তিনি জমি পাবেন তাই দখল করেছেন। শুধু আলমগীরের জমি নয় তার চাচা নজির হোসেন গাজীর বাড়ি সংলগ্ন জমিও তিনি দখল করেছেন বলে জানিয়েছে। তবে তিনি পরিমাপ করে কোন জমি দখল করেননি।’
নড়াগাতি থানার ওসি রোকসানা খাতুন থানায় শালিশ বৈঠক হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘মিমাংশা বৈঠকেরপর কি হয়েছে তা আমি জানিনা। কেউ আমার থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেযা হবে।’