মোঃ নাঈম হাসান ঈমন ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির কাঠালিয়ার সহকারী কমিশনার ভূমি সুমিত সাহা মেসার্স ত্বহা ব্রিকস ফিল্ডে ‘নানা অনিয়মের অজুহাত’ ভ্রম্যমান আদালতের ভয় দেখিয়ে চারলাখ টাকা জড়িমানা আদায় করে দুই লাখ টাকার রশিদ দিয়ে বাকী ২লাখ টাকা লোপাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২৫ জানুয়ারী সোমবার দুপুরে চারলাখ নিয়েও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমিত সাহার স্বাক্ষরিত মামলার (নম্বর ০৫/২০২১ইং) মাধ্যমে (যার ক্রমিক নং ৪৮০৮২৩) ইট ভাটা মালিককে দুই লক্ষ টাকার রশিদ প্রদান করে বলে অভিযোগে জানাগেছে।
অন্যদিকে বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ কাঠালিয়ার বিভিন্ন মহলে জানাজানি হলে এলাকায় জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় এসিল্যান্ডের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার কয়েক সাংবাদিকসহ প্রভাবশালীর মাধ্যমে বিষয়টি আপোষরফা ও আত্মসাতকৃত টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করায় তার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
ইট ভাটার পার্টনার মালিক মোঃ শাহিন আকন জানান, ২৫ জানুয়ারি সোমবার সকালে এসিল্যান্ড সুমিত সাহা, তার অফিসের নাজির মাঈনুল, কয়েকজন পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্য নিয়ে আমাদের ফিল্ডে উপস্থিত হন। এ সময় নানা অভিযোগ তুলে ফায়ার সার্ভিসের লোকদের নাজির মাঈনুল ভাটার চুলায় পানি দিয়ে নিভিয়ে ফেলতে বললে। অনেক অনুনয়-বিনয়ের পর নগদ দশ লাখ টাকা দাবি করলে নগদ এত টাকা তাদের কাছে নেই বলে জানালে ক্ষুদ্ধ হয়ে ইট ভাটার অপর মালিক মোঃ এনামুল হকের শ্বশুর হাবিবুর রহমান ও কর্মচারী মফিজুলকে আটক করে কাঠালিয়া সদরে এসিল্যান্ড কার্যালয়ে নিয়ে আসে।
এ অবস্থায় শাহিন আকন তার আত্মীয়সহ বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে ধার-দেনা করে ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে নাজির মাঈনুলের হাতে পৌছে দিলে এসিল্যান্ড সাক্ষরিত একটি রশিদ দেন যাতে দু’লক্ষ টাকা লেখা দেখেন। সে দুই লক্ষ টাকার রশিদ কেনো জানতে চাইলে তাকে ধমকিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়”।
ভাটার অপর মালিক মোঃ এনামুল হক জানায়, সে ঢাকা অবস্থান করায় তার পার্টনার মোঃ শাহিনের কাছে ভ্রাম্যমান আদালতের নামে ৪ লক্ষ টাকা নেয়া ও দু’লাখ টাকার রশিদ দেয়ার বিষয়টি জানতে পান। তিনি এসিল্যান্ড সুমিত সাহার সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানতে চাইলে ৪ লক্ষ টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করেন, ২ দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন বলে দাবী করেন।
এদিকে স্থানীয় সাংবাদিকদের একটি সূত্র জানায়, অভিযানের পর এসিল্যান্ড সুমিত সাহা কয়েক সাংবাদিকের ম্যাসেঞ্জারে দু’লাখ টাকা জরিমানার তথ্য প্রদান করেন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনায় অভিযান চালান বলে দাবী করেন। একই তথ্য উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদারও এটি ফেসবুকে পোষ্ট দেন কিন্তু অর্থলোপাটের তথ্য ফাঁস হওয়ার পর সেই পোষ্টটি আর নেই বলে জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুফল চন্দ্র গোলদার সাংবাদিকদের জানান, মেসার্স ত্বহা ব্রিকস ফিল্ডে একটি অভিযান করা হয়েছে এবং সেখানে ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনা করে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে তিনি জানেন। এর বাহিরে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবী করেন।