নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো: পলাশ মোল্যা। নবীন বয়সে চেয়ারম্যান হয়ে ইউনিয়নে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। ইউনিয়নে প্রশংসায় ভাসছেন। জেলায় অনেক ইউনিয়নে চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। আউড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পলাশ এর নামে তেমন কোন দূর্নীতির অভিযোগ লোক মুখে পাওয়া যায়নি। তার মৃষ্ট ভাষা সকলের মন জয় করে নিয়েছে। ইতিপূর্বে এহেন আচারণ কোন চেয়ারম্যানের নিকট পায় নাই স্থানীয়-রা। রাতের আঁধারে সেবা পেয়েছে অসহায় মানুষ। জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে দেশ গড়ার অঙ্গিকার নিয়ে ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন তিনি।
ইউনিয়নে সমাজ সেবায় বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পলাশ। তার বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড নজির হয়ে রয়েছে। তিনি ইউনিয়নে দুস্থ অসহায় মানুষের সেবা করে চলেছেন। করোনা কালীন সময়ে অসংখ্য পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন। গোপনে নগদ অর্থ সহায়তা করেছেন। বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা প্রদানে সততার সাথে বন্টন করেছেন তিনি। রাস্তা ঘাট, মন্দির, মসজিদ সংস্কার কাজে ও করেছেন সততার সাথে। গ্রাম আদালত পরিচালনায় সুশাসনের খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি। তার সেবার মহিমা এলাকায় বহুল প্রচলিত রয়েছে।
নড়াইলের এই কৃর্তি সন্তান চেয়ারম্যান মো: পলাশ মোল্যা।
বর্তমানে ইউনিয়ন রাজনীতিতে গ্রুপিং থাকার কারনে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে কিছু অসাধু মহলের কুট পরামর্শে হত্যা মামালার আসামি হয়েছেন। বর্তমান তিনি কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনিত মামলা ভূয়া, মিথ্যা, বানোয়াট দাবি করেছেন তার শুভাকাঙ্ক্ষী ও এলাকাবাসী। তারা জানান, ইউনিয়নে দীর্ঘ দিনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে পরের হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সেই সব ঘটনার নেপথ্যে থাকা মানুষ গুলো পরিকল্পিত ভাবে চেয়ারম্যানের মহতি কাজে ঈর্ষানিত হয়ে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে চেয়ারম্যান একজন মহান মানুষ। চেয়ারম্যানের শুভাকাঙ্ক্ষী ও এলাকাবাসীরা।
একান্ত সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন, আউড়িয়া ইউনিয়ন বর্তমান চেয়ারম্যান পলাশ। তিনি ইউনিয়নে বরাদ্দের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে ইউনিয়ন বাসীকে সেবা প্রদান করেছেন।
তবে ইতিহাসে সাক্ষী আছে যে- নবীনরাই ইতিহাস সৃস্টি করে তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন,ইউনিয়নবাসী সুযোগ দিলে অবশ্যই বাস্তবায়ন করবে এবং দেখিয়ে দেবেন নবীনরাও পারে। বয়স মূল কথা নয়, কাজের ইচ্ছা শক্তি ও ঠিক পরিকল্পনাই মূল কথা। যদি সঠিক পরিকল্পনা সামনে রেখে নিবেদিত প্রাণে কাজ করা যায়, তবেই সম্ভব। জনগণকে তিনি নিজের পরিবার মনে করছেন। জনগণের দোয়া ও ভালবাসাই ছিল তার চলার পথ লক্ষ্য। তারা আরো বলেন,
ইউনিয়নবাসীর কাঙ্খিত দাবী ইতিপূর্বে নির্বাচিত কোন চেয়ারম্যান পুরোপুরিভাবে পূরন করতে পারেননি। এতে জনগণের সাথে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দূরত্ব বেড়েছে। জনগণ ভাত-কাপড় চায় না। জনগণ সুখ-দুঃখে জনপ্রতিনিধিদের পাশে পেতে চায়। প্রান্তিক জনগোষ্ঠির সাথে দীর্ঘদিনের পথচলা চেয়ারম্যানের । তিনি সাধারণ নাগরিক থেকে বুঝতে পারেছিলেন জনগণ কি চান। তাই তিনি তাদের আশা-আকাঙ্খা পূরনের লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানি করতেন। তাদের চাহিদা পুরন করতেন।
তৃণমুল পর্যায়ের জনসাধারনের ক্ষুদ্র সেবক হয়ে দীর্ঘদিন যাবত পাশে ছিলেন।
জনগনের পূর্ণ বিশ্বাস ও ভালোবাসায় এবার নির্বাচনের মাঠে থাকবেন। আমরা মনে করি এলাকার মেহনতি ও খেঁটে খাওয়া অসহায় মানুষগুলো চেয়ারম্যানের সাথে আছেন। পলাশ চেয়ারম্যান হয়ে ইউনিয়নে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতা করার পাশাপাশি, মাদক ও সন্ত্রাসের কুফল সর্ম্পকে প্রতিটি সভা-সমাবেশে আলোচনা করতেন । মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে জনগণকে ঐক্যবন্ধ থাকার আহবান জানিয়ে, ইভটিজিং, সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা আপনার/আমার ভাই-বোন হতে পারে। তাই তাদের সাথে খারাপ আচারণ বা ঘৃনা না করে সুপথে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করতেন ।
তবে এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, চেয়ারম্যান পলাশের আবার ও নির্বাচনে ব্যাপক জন সমর্থন রয়েছে । তাকে ঘিরেই সর্বত্র চলছে আলোচনা। ঘোষিত এবং অঘোষিত বিভিন্ন ধরনের সেবার মানসিকতা নিয়ে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে একজন চেয়ারম্যান হিসেবে ইউনিয়নবাসীর সমর্থন এ যুবককে আরও উজ্জীবিত করবে বলে এলাকার বিজ্ঞজনেরা মন্তব্য করেছেন।