নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের সদর উপজেলার ৮নং কলোড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম মুক্ত ও সাধারণ সম্পাদক উৎপল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তাদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতারা।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় গোবরা পার্বতী বিদ্যাপীঠ স্কুল মাঠ চত্বরে ৮নং কলোড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মিনা মাহমুদুল হাসান তাপস।
তিনি বলেন, ৮নং কলোড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি ‘২০১৫ সালে গঠিত হওয়ার পর থেকে সংগঠনের ধ্বস নেমে এসেছে।২০১৫ সালে জানুয়ারির ১৭ তারিখে কমিটি গঠিত হওয়ার পর থেকে এখন ও পর্যন্ত একটা বর্ধিত সভা এমন কি একটা মিটিং ও হয়নি। এই পর্যন্ত কমিটির একটা পরিচিতি অনুষ্ঠানও হয়নি। আসলে কে বা কারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সেটা এখন পর্যন্ত কেউই জানেনা। ইউনিয়ন কমিটি গঠনের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনও জাতীয় অনুষ্ঠান হয়নি, কোনও দলীয় প্রোগ্রামও হয়নি সুতরাং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কোনও অস্তিত্ব আছে বলে মনে হয় না। এই অযোগ্য সভাপতি/ সম্পাদকের কারনে বিগত ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমাদের ইউনিয়নে নৌকা মার্কা পরাজিত হয়েছিল। এমনকি জাতীয় সাংসদ নির্বাচনেও আমাদের ইউনিয়নে সভাপতির কেন্দ্রে সব থেকে খারাপ ফলাফল হয়েছিল।এই দুই ব্যর্থ সভাপতি/ সম্পাদক সংগঠনের কোন কাজ তো করেই না বরং দলের বিদ্রোহী চেয়ারম্যানের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নেওয়ার জন্য তার পরিষদে বসে থাকে । বিভিন্ন সময়ে এম,পির নাম ভাঙ্গিয়ে বিদ্রোহী চেয়ারম্যানের কাছ থেকে চাউলের কার্ড ,বয়স্কভাতা,বিধবা ভাতা, এনে নিজেরা বিক্রি করে খেয়ে ফেলেছে।করোনা কালীন সময়ে এই সভাপতি/ সম্পাদক এম,পির দেওয়া প্রচুর চাউল নিজেরা আত্মসাৎ করেছে। সংগঠেনর দিকে খেয়াল নাই নিজেদের আখের গোছাতে এরা ব্যস্ত। ফলে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সংগঠন টি ভেঙ্গে পড়েছে।
তাই আমাদের বিনীত অনুরোধ এই দুইজন অযোগ্য ব্যর্থ দূর্ণিতিবাজ সভাপতি /সাধারন সম্পাদক ( শাহরিয়ার আলম মুক্ত এবং উৎপল বিশ্বাস ) কে অব্যহতি দিয়ে নতুন দুইজন নেতা কে দায়িত্ব দিয়ে কলোড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সংগঠনকে গতীশীল করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা আওয়ামীলীগ ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি / সম্পাদকের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে সভাপতি শাহরিয়ার আলম মুক্ত তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। সাবেক চেয়ারম্যান তাদের বিরুদ্ধে এ অপপ্রচার চালাচ্ছেন।