নড়াইল প্রতিনিধিঃ আজ সন্ধ্যায় এস এম সুলতান ব্রীজের পাশে,মোটরসাইকেল যোগে গুরুতর করোনা রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন করোনা সেচ্ছাসেবী তনু, এমুহূর্তে দায়িত্বরত সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম রাসেল ইসলাম নূর তার সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে জেনেও এবং তার সাথে গুরুতর করোনা রোগী দেখেও জরিমানা করেন। এ বিষয়ে করোনা সেচ্ছাসেবী ও নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুজ্জামান মুকুল ফেসবুকে লিখেছেন, ‘একজন সেচ্ছাসেবী অসুস্থ রোগীকে মটর সাইকেল যোগে হাসপাতালে নিয়ে যাবার সময় যদি দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্মানিত ম্যাজিস্ট্রেট কতৃক আর্থিক জরিমানার শিকার হতে হয় তাহলে আমরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কিভাবে মানব সেবায় নিয়োজিত থাকবো।’
সেচ্ছাসেবী হিসেবে পরিচয় দিয়ে অনুরোধ করা সত্ত্বেও যদি একজন সেচ্ছাসেবীকে জরিমানা গুনতে হয় তাহলে আমরা কেন কাজ করছি ?
যেখানে গাড়ীর সঠিক কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে, একজন অসুস্থ রোগীকে মটর সাইকেল যোগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সেচ্ছাসেবীর জন্য জঘন্যতম অপরাধ।
এস.এম সুলতান ব্রীজের নিচে আজ সন্ধ্যার পর এমন ঘটনা আমাদের জন্য খুবই হতাশাজনক।
এব্যাপারে নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ও সামাজিক সংগঠন উদ্দীপ্ত তরুনের আহব্বায়ক মোঃ নাসিম সিকদার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ❝জনাব সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম রাসেল ইসলাম নূর…আপনি জানেন কি করোনার ডেলটা ধরনের ভয়াবহতার শুরুতে মাননীয় জেলা প্রশাসক জেলার গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সামাজিক ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে যে আলোচনা সভা করেছিলো তার মুখ্য বিষয় ছিলো সেচ্ছাসেবীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত। সেখানে একজন করোনা রোগীকে আরোহন করা সেচ্ছাসেবীকে আপনি জরিমানা করলেন। মাননীয় জেলা প্রশাসকের কাছে একজন ক্ষুদ্র সেচ্ছাসেবী হিসাবে দাবি – স্যার এটাই কি সেচ্ছাসেবীদের জন্য দেওয়া সম্মান? তাহলে আমিও বাড়িতে বসে থাকবো!আমার পরিবারের কথা না ভেবে কীসের জন্য জরিমানা খেতে যাবো?
এবিষয়ে সেচ্ছাসেবীদের মাঝে ভয় কাজ করছে এভাবে চললে তারা আগামিতে কাজ করতে পারবেনা,এব্যাপারে মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে তারা সঠিক বিচার দাবি করেন।
Leave a Reply