মুহাম্মদ সায়েস্তা মিয়া
২৫/০২/২০১৭ ইং ( গদ্যকাব্য)
রাজপ্রাসাদ থেকে রাখাল ঘরেও চাঁদ উঠে।
উঠোনে সাজে সুখমঞ্চ –
বসে নিরন্তর বিনালার আসর।
কোথাও মেঘ নেই, খষে পড়া-
শোকতারা ও ছিল না আকাশে।
তবো পড়লো বজ্র, পড়লো শিলা।
পড়লো অভিমান, ভাংলো এভারেস্ট।
ধরে ফাঁটল হিমালয়সম বিশ্বাসে।
উপড়ে ফেলা চা’কুঁড়ির কান্নায় ঝরণা বহে।
টং টং সংকেতের ঘড়ি আজ চার্জহীন।
হয়েছে আজ আদরহীন।
কীনব্রীজের রেলিং টপকে জলে ঝাঁপায়।
জালালী কবুতরের ছটফটানীর দায় কেউ নেয়নি।
কারণে অ-কারণে দায়মুক্ত বসুন্ধুরাকে অজস্র ধিক্কার দেয়।
‘উত্তর পূর্ব’ সবুজ আবাসের অপেক্ষায় শান্তি বিয়োবে।
কিন্তু বিয়োয় মৃত্যুর আগে অবিরাম যন্ত্রণা।
হসপিটালের মেঁঝে এপাশ ওপাশ করে।
করে নার্সের হাত ধরার নিস্ফল প্রচেষ্টা।
নাঁড়িভূড়ি উগলে ভিতরের মাল বের করে।
চোখে দেখে এক বিকট চেহারা দাঁড়িয়ে আছে।
খুব ভয়ংকর ক্ষ্যাপেছে খেয়ে নিতে-
হয়তো পাঁচঅঙ্গুলে কলিজায় ছোঁ মারবে।
দেয়ালে ঠেকানো নিরুপায় পিঠের আর ভয় নেই।
এতো যন্ত্রণার কী প্রয়োজন ছিলো !
মুখ বেকিয়ে ভ্যাংচি হাসির প্রতিবাদে খেলো ভ্যাবাচ্যাকা।
আশ্চর্য্য!
মৃত্যুমুখে এমন মশকারী প্রতিবাদ-
রহস্যের দরজা খোলা বৈ কী ভাবা।
কিন্তু কেন ?
তড়িৎ দানবীয় উত্তর দিতে দৌড়ে গলি পেরিয়ে সে।
‘লাক্কাতুরা’র’ মালনী বাগানের চা’ কুঁড়ি আর,
তাজা গোলাপ দিয়ে ফিরাতে বুকের মঞ্চে।
অবহেলা অনুপস্থিতি শোধের বড় ব্যস্থতায়,
আজ মুমূর্ষের দরজায় হাজির হওয়া।
দ্রুত পঞ্চমতলার বারান্দায় উঠে বুকে জড়াবে।
উঠছে জাদরেল বসন্ত কুকিল।
জটলার পাশে দাঁড়ানো হলো তাঁর।
অবশেষে চোখ ভ্যাপসা জলে, ভারী বর্ষণ হবে।
সাহারায় অঙ্কুর গজাবে না তবো বৃষ্টি হলো।
শ্রীহট্টের ফুলের তোড়ায় বরণ হবে কাফনে মোড়ানো লাশ।
কবরে আজ ফুলের প্রয়োজন নেই বলে,
প্রকৃতি কাঁপিয়ে দেয়া বিদায়ী গর্জন।
কেউ শুনেনি, শুনেছে বসুধা, বাতাস।
আহঃ বড্ড দেরী হলো বলে বিমূর্ষ হলো প্রাসাদী।
রাখালঘরের চাঁদ ফিরেছে,
শেষান্তের তীর বুকে বিধে।
অনুতাপের বস্তা কাঁধে, বনফুলের শেষ দেখে।