জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম:- ৩১ জুলাই শনিবার ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের মাঝে সরকার রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষনা করেছে । এমন ঘোষনার পর চলমান কঠোর লকডাউনকে উপেক্ষা করে কুড়িগ্রামের চিলমারী নৌ-ঘাটে ঢাকাগামী যাত্রীদের ঢল দেখা দিয়েছে।
শনিবার ভোর রাত থেকে এই পথে বিভিন্ন এলাকার যাত্রীদের ঢল নামলেও স্বাস্থ্য বিধির কোন বালাই ছিল না। এ সুযোগে ঘাট কর্তৃপক্ষ ছোট-বড় সব রকম নৌকা এবং বালু উত্তোলনকারী ট্রলার দিয়ে ঝুকি নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় ধারন ক্ষমতার অধিক যাত্রী বহন করছে। এতে যে কোন সময় বড় রকমের নৌ-দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানাগেছে, চলমান কঠোর লকডাউনে সব রকম দুর পাল্লার গাড়ী চলাচল বন্ধ থাকায় রংপুর, লালমনিরহাট, রাজারহাট, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার গার্মেন্টস কর্মীরা চিলমারী নৌ-পথে রৌমারী বা রাজিবপুর হয়ে অটোরিক্সা, সিএনজিসহ বিভিন্ন ছোট-ছোট যানে করে ঢাকা যাওয়ার পথ বেচে নেয়। উপজেলা রমনা ঘাট,ব্যাংমারা ঘাট, রাজারভিটা ঘাট, পুটিমারী ঘাট, ফকিরেরহাট ঘাট ও জোড়গাছ ঘাট থেকে অতিরিক্তি যাত্রী নিয়ে কিছুক্ষণ পর পর নৌকা ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। রমনা ঘাট এলাকায় চোখে পড়ে যাত্রীবাহী নৌকায় এত যাত্রী বহন সংকুলান না হওয়ায় বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার ট্রলার সমুহ দিয়েও গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এ সময় অধিকাংশ মানুষের মুখে কোন মাস্ক দেখা যায়নি এমনকি সেখানে কোন স্বাস্থ্য বিধির বালাই ছিল না। যাত্রীর তুলনায় নৌ-যানের সংখ্যা কম হওয়ায় হুমড়ি খেয়ে নৌকায় উঠতে অনেকে পানিতে পড়ে ভিজে যাচ্ছে।সকালে নৌকার সই ভেঙ্গে দুই যাত্রী অসুস্থ্য হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। অধিক যাত্রীর সুযোগে ঘাট কর্তৃপক্ষ ইচ্ছামত দ্বিগুন ভাড়া নিচ্ছেন বলে যাত্রীদের অভিযোগ ।