স্টাফ রিপোর্টঃ
সিলেটের বিয়ানীবাজারে শেওলা এলাকায় এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণে সহযোগিতা সহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলার চার্জশিট ভূক্ত আসামী মাহমুদুল হাসান এরশাদের বিরুদ্ধে সিনিয়র সাংবাদিক রুহুল আমীন তালুকদারের উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত তার অপকর্মের সকল সংবাদগুলো প্রত্যাহার করতে ফের ভয়ভীতিসহ হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকির অভিযোগে সাধারণ ডায়রীর আবেদনের মূল বিষয়বস্তু অধর্তব্য অপরাধে সামিল হওয়ায় এসএমপি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার অধীন, কদমতলী পুলিশ ফাড়ির টু-আইসি শশধর বিশ্বাস গত- ২১ আগস্ট আদালতে আসামী এরশাদ মেম্বারের বিরুদ্ধে একটি ননএফআইআর প্রসিকিউশন মামলা দাখিল করেন।
গত- ২৩ আগস্ট মঙ্গলবার সিলেটের মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত দক্ষিণ সুরমা থানার ননএফআইআর ৮৩ নং প্রসিকিউশন মামলাটি দন্ডবিধি আইনের ৫০৬(২) ধারা মতে আমলে নিয়ে আসামীর বিরুদ্ধে সমন ইস্যুর আদেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামী হলো, সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য মাহমুদুল হাসান এরশাদ ও অজ্ঞাতনামা তার সহযোগিরা।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, দৈনিক সোনালী সিলেট ও দৈনিক এশিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইন পোর্টালের স্টাফ রিপোর্টার এবং দৈনিক সিলেটের হালচাল পত্রিকার সাবেক নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক সিলেটের দিনকাল এর স্টাফ রিপোর্টার রুহুল আমীন তালুকদার, আসামী এরশাদের বিরুদ্ধে বিয়ানীবাজার সিআর মামলা নং ১৫৯/২০২১ ইং দায়ের করেন। যাহা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। গত ১৯মে বাদীর দায়েরকৃত মামলায় আদালতে হাজিরা শেষে বিকাল ৩টায় তিনি তার পত্রিকা অফিস দক্ষিণ সুরমাস্হ ভার্তখলা সামছু উদ্দিন মার্কেটে যাওয়ার পথে ক্বীনব্রিজের দক্ষিণ মূখে পৌছা মাত্রই উপস্হিত পথচারী সাক্ষীদের সামনে আসামী এরশাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা আদালত থেকে তুলে নিতে ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদগুলো প্রত্যাহার করতে বলে।অন্যথায় বাদী রুহুল আমীন তালুকদারসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণকে সুবিধামত স্হানে পেলে খুন করে লাশ গুম করে এরশাদের বিরুদ্ধে মামলা – সংবাদ প্রকাশ করার স্বাধ চিরতরে মিটিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয় এরশাদ ও তার অজ্ঞাতনামা সহযোগিরা। এঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানায় সাধারণ ডায়রীর আবেদন করলে অফিসার ইনচার্জ সাংবাদিক রুহুল আমীন তালুকদারের অভিযোগে বর্ণিত ঘটনার বিষয় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্হা নিতে কদমতলী পুলিশ ফাঁড়ির টু- আইসিকে নির্দেশ দেন। টু-আইসি শশধর বিশ্বাস অভিযোগে বর্ণিত বিষয় অধর্তব্য অপরাধের সামিল থাকায় বিস্তারিত তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন করেন। আদালতের আদেশ নং-১, স্বারক নং-৩৯২৪(৪), ৩১মে অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে সঙ্গীয় ফোর্স সহ সরজমিনে ঘটনাস্হলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শনকালে বাদী রুহুল আমীন তালুকদার ও তার মানিত স্বাক্ষী, নিরপেক্ষ স্বাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সর্বোপরি ঘটনার বিষয়টি প্রকাশ্যে ও গোপনে ব্যাপক তদন্ত করেন। ঘটনার বিষয়ে প্রমাণ পেয়ে আসামী এরশাদের বিরুদ্ধে বিচারের নিমিত্ত আদালতে প্রসিকিউশন মামলা দাখিল করেছেন তিনি।
Leave a Reply