বিশ্বনাথ প্রতিনিধি:

সিলেট জেলা বারের প্রবীন আইনজীবী, বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের খাজাঞ্চীগাঁও গ্রামের কৃতি সন্তান উত্তর বিশ্বনাথ দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, খাজান্সী গাঁও ঈদগাহ, ও মসজিদ কমিটির সভাপতি, খাজাঞ্চীগাঁও এস এ খাঁন সরকারী প্রাথমিক বিদ‌্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এডভোকেট ছাদ উদ্দিন খাঁন মারা গেছেন !

এডভোকেট ছাদ উদ্দিন খাঁনের মৃত‌্যুতে গভীর শোক জ্ঞাপন করেছেন বৃটেনের ডরসেট আ.লীগের সিনিয়র সদস‌্য, উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, সালেহ আহমেদ সাকিব কল‌‌্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম‌্যান, এশিয়ান এক্সপ্রেস টুয়েন্টিফোর ডটকম অনলাইন নিউজ পোর্টালের চেয়ারম‌্যান, সমাজসেবক ও দানবীর সেলিম আহমেদ।

মরহুম ছাদ উদ্দিন খাঁনের জানাজা আজ সিলেটের দরগাহে হযরত শাহজালাল মাজারে বাদ জোহর এবং বাদ আসর মরহুমের নিজ বাড়ী খাজাঞ্চীগাঁও অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সেলিম আহমেদ এক শোক বার্তায় মরহুম এডভোকেট ছাদ উদ্দিনের কর্মময় জীবনের স্মৃতি উল্লেখ করে বলেন;  গতকাল সন্ধ‌‌্যায় তিনি ইহজগত ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। এডভোকেট ছাদ উদ্দিন খাঁনের মৃত্যু সংবাদে বিশ্বনাথ উপজেলার উত্তর বিশ্বনাথ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। যখন উত্তর বিশ্বনাথের খাজান্সী- লামাকাজী ইউনিয়নে সহিত উপজেলা সদরের যোগাযোগ ব‌্যবস্থা অনুন্নত ছিল এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ছিল পিছিয়ে তথা শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপন করে মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহন করতে সিলেট-ছাতক কিংবা বিশ্বনাথ সদরে যেতে হত পড়া লেখা করতে, যে কারনে এই এলাকার অনেক প্রতিভাবান শিক্ষর্থীদের পক্ষে যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহন থেকে পিছিয়ে পড়া ছাড়া উপায় ছিল না। তখনই অত্র এলাকার খাজান্সী গাঁও গ্রামের মরহুম শরাফত খানের সুযোগ্য সন্তান এডভোকেট ছাদ উদ্দীন খান, তাহার বড়ভাই অত্র এলাকার সালিশ ব্যক্তিত্ব মরহুম সমছু খাঁনের অনুমতি নিয়ে অত্র এলাকার বরেণ‌্য সালিশ ব্যক্তিত্ববান মুরব্বীদের সাথে নিয়ে নবীন এই আইনজীবী ছাদ উদ্দীন খাঁন উত্তর বিশ্বনাথে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাঁর এই আহবানে এলাকাবাসী সম্মতি জ্ঞাপন করেন। অত্র এলাকায় কলেজ ভার্সিটি পডুয়া অনারারী শিক্ষক নিয়োগের ইচ্ছা প্রকাশ করলে এলাকার হাজারীগাও সাকিনের মরহুম কিনু মিয়া, নওরোজ আলী, উকিল আলী, ঘাসিগাও গ্রামের মরহুম আল্তাফুর রহমান, খাজান্সীগাও সাকিনের কমর উ্দ্দীন খান ফটিক মিয়া সহ এলাকার উদ‌্যামী শিক্ষানুরাগীদের অবৈতনিক শিক্ষক নিয়োগে মাধ‌্যমে প্রথম অস্থায়ী ক‌্যাম্পাস পাহাড়পুর গ্রামের মরহুম শহর উল্লাহ‘র বাড়ীতে উনার বড় ছেলেদের অনুমতি গ্রহণ সহ অস্থায়ী স্কুলের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৭২ সালে। চলে ১৯৭৪ সন পর্যন্ত। এরপর বর্তমান স্থানে ১৯৭৪ সনে পূর্ন নির্মান করা হয় বিদ‌্যালয়টি। তৎসময় অবৈতনিক শিক্ষকদের কঠোর পরিশ্রমে এলাকা থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে বিদ্যালয়ের গৃহ নির্মান করা হয়। বিদ্যালয় প্রতিষ্টাকালীন সময় থেকে তিনির অসুস্থতা জনিত শয্যাযায়ী হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিন যুগেরও বেশি সময় পর্যন্ত তিনি সভাপতির দায়ীত্ব পালন করেন এই স্কুলের। কঠোর পরিশ্রমে বিদ্যালয়টির উত্তোরত্তর উন্নতিতে আজ এই প্রতিষ্ঠান হতে অনেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করে বিদ্যালয়ের পরিচিতি ও সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে সক্ষম হয়েছেন। সে কারনে মরহুম এডভোকেট ছাদ উদ্দিন খাঁনের অবদান এলকাবাসী চিরদিন স্মরন রাখবে। আমি মরহুম এডভোকেট ছাদ উদ্দিন সহ বিদ্যালয় প্রতিষ্টাকালীন সকলের অবদান কৃতজ্ঞতার সহিত স্মরন করি। এযাবৎ যারা মৃত্যুবরন করেছেন তাদের সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করি। মহান আল্লাহ যেন মরহুমদের জান্নাতুল ফেরদাউসের মেহমান হিসাবে কবুল করেন এই প্রার্থনা করছি। পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা সহ ধৈর্য্য ধারনের ক্ষমতা প্রদানের জন্য মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি।