এশিয়ান ডেস্কঃ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী খাজাঞ্চি ইউনিয়নের উত্তর বিশ্বনাথ দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন খাজাঞ্চি নদীর উপর একটি পাকা ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে।
রেল ব্রীজের পাশাপাশি একটি পাকা ব্রীজ নির্মিত হলে খাজাঞ্চী ইউনিয়নের পশ্চিম পাড় ও পূর্ব পাড়ের মানুষের মধ্যে তড়িৎ যোগাযোগ সহ স্থানীয় উন্নয়ন সাধিত হবে অনায়াসে এমটাই বাস্তব চিত্র বলছে। এছাড়া ব্রীজ সংলগ্ন উত্তর বিশ্বনাথ দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ে আগত ছাত্রছাত্রীদের রেলব্রীজ পারাপারে ঝুঁকি লাঘব হবে।
নদী তীরবর্তী স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে এখানে একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। যে স্কুলে বর্তমানের ছাত্র / ছাত্রী সংখ্যা কম করে হলেও ৬শতাধিক। নদীর পূর্ব পাড়ের ছাত্র / ছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একমাত্র রেল ব্রীজ দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে সবসময়। স্কুল প্রতিষ্ঠার পর এযাবত অনেকবার ব্রীজ নির্মাণের দাবী এলাকাবাসী করে আসলেও স্থানীয় কোন জনপ্রতিনিধি কোনো উদ্যোগ নিতে বা আগ্রহী হতে দেখা যায়নি। এ নিয়ে স্থানীয় সকল জনপ্রতিনিধিদের উপর ক্ষোভের শেষ নেই এলাকার মানুষের।
এখানে খাজাঞ্চী এলাকার পূর্ব পাড় থেকে স্থানীয় জনসাধারন ও স্কুল কলেজে পড়ুয়া লোকসকল প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এপারওপার হতে যাওয়া সবারই দাবী একটি পাকা ব্রীজ যেন নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন স্থানীয় এমপি মোকাব্বির খান। এজন্য এমপি মোকাব্বির খানের সুদৃষ্টি কামনা করেন পথচারী মুরব্বি মনু মিয়া, জসিম খান, বাবুল মিয়া, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শামীম আহমদ, পাকিছির গ্রামের গণমাধ্যম কর্মী সায়েস্থা মিয়া সহ অনেকেই। বিশেষ করে সকালে ছাত্রছাত্রীদের বিপদের শঙ্কা থাকে বেশি, কারণ এসময় ছাতক হতে সিলেটগামী ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ট্রেন যখন ব্রীজে পৌঁছে তখন সকাল ৯টা বিশ থেকে সাড়ে নয়টা সময় বাজতে থাকে। আর এসময়ই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা ব্রীজ দিয়ে বেশি চলাচল করে। তাই ঝুঁকি আছে তাদের বেলায় বেশি। রেল লাইন হয়ে নদী পার হতে গিয়ে অনেক দূর্ঘটনার স্বাক্ষ্য হয়ে আছে এ স্থানটি।
ঐতি মধ্যে খাজাঞ্চী রেল স্টেশন থেকে পশ্চিম দিকে নদী পর্যন্ত পাহাড়পুর গ্রামের নদীপার এবং পশ্চিম পার্শ্বে প্রীতিগঞ্জ বাজার থেকে পূর্বদিক হয়ে নদীপার পর্যন্ত রেল লাইনের পাশ ঘেষে কাচা রাস্তা নির্মাণ সম্পন্ন হয়ে আছে। ব্রীজটি নির্মাণ হলে উভয়পারে রাস্তার চলমান সংযোগ স্থাপন হবে। এখানে একটি ব্রীজ নির্মিত হলে কম সময়ে অত্র এলাকার মানুষ সিলেট শহরে যাতায়াত করার সুয়োগ লাভ করবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকৃত ঝুকিপূর্ণ রোগীদের শহরে গিয়ে দ্রুত চিকিৎসা সেবা পাওয়ার সুয়োগ পাবে, বাঁচবে ঝুকিপূর্ণ রোগীর জীবনও। এছাড়া খাজাঞ্চী ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ের অসংখ্য কৃষক, শ্রমিক, সবজী চাষীর জীবনেও আসবে গতিময়তা। তাজা সবজী কম সময়ে পরিবহন ব্যবস্থা করে কাংঙ্কিত আয়ে জীবনের স্বাচ্ছন্দ্যে উদ্ভাসিত হওয়ার ধার উম্মোচন হতে পারে অনেকের। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় প্রশাসন এবং উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জরুরী ভেবে দেখার আকুলতা জানিছেন এলাকার গণ্যনান্য লোকজন।