মোহাম্মাদ আশরাফুল ইসলাম
খুলনা সদর প্রতিনিধি
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমী মাদ্রাসা তাবলীগ ও দ্বীন রক্ষার লক্ষ্যে দেশের শীর্ষস্থানে ওলামা মাশায়েখদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে মহা সম্মেলন।
ইসলামি মহাসম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের প্রায় কয়েক কিলোমিটার জুড়ে শুধুই আলেম-ওলামাদের সম্মিলন ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা এই সম্মেলনে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আগের ভাগে বিপুল সংখ্যাক মুসল্লিগণ উপস্থিত হওয়ার কারণে ফজর বাদ সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। শাহবাগ, নীলক্ষেত, ঢাকা মেডিকেল, সচিবালয় ও হাইকোর্টের সামনের দিক দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সোহরাওয়ার্দীর সামনে দিয়ে যেতে চাওয়া গাড়িগুলোকে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে। এদিক যেতে চাওয়া গাড়িগুলোকে বিকল্প পথে গন্তব্যস্থলে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।
এদিকে ইসলামি মহাসম্মেলনে যোগ দিতে আসা বিপুল পরিমাণ জনতার ঢলে রাজধানী জুড়ে দেখা দিয়েছে যানজট। গুলিস্তান, কাকরাইল, শাহবাগ, নীলক্ষেত সহ সোহরাওয়ার্দীর দিকে আসা প্রতিটি রাস্তায় ছিলো বিপুল ধর্মপ্রাণ মানুষের উপস্থিতি।
এই ইসলামী মহাসম্মেলনে দেশের প্রায় সকল ইসলামী সংগঠন ওসারা দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আসতে দেখা গেছে।সম্মেলনে কওমী পন্থি ইসলামী বৃহৎ সংগঠন চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ও সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ইসলামী আন্দোলনের মনোগ্রাম ব্যবহারকারী অনেক স্বেচ্ছাসেবক কে সম্মেলনের ব্যস্ততম জায়গায় দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।সম্মেলনে বক্তব্য ও রেখেছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রতিনিধি দলের বেশ কয়েকজন নেতা তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর আল্লামা আব্দুল হক আজাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী আল্লামা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের
কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক ছাত্রনেতা মাওলানা নেয়ামাতুল্লাহ আল ফরিদী, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম আবরার।
দুপুর ১টা ১৭ মিনিট পর্যন্ত চলা এইসম্মেলনে খলিল আহমাদ কাসেমী হাটহাজারী, আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, আল্লামা আব্দুল রহমান হাফেজ্জী, আল্লামা নুরুল ইসলাম, আদিব সাহেব হুজুর, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা রশিদুর রহমান, আল্লামা শাইখ জিয়াউদ্দিন, আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান, আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, ফরিদাবাদ, আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মাওলানা আরশাদ রহমানি, মাওলানা মুঃ সালাহউদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুস্তাক আহমদ, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা মোঃ আনোয়ারুল করীম, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
: আজকের সম্মেলন থেকে উত্থাপিত নয় দফা :
১. তাবলীগ নিয়ে বিচ্ছিন্ন মহলের সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে।
২. সাধারণ শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মশিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৩. আলেমদের বিরুদ্ধে বিগত সরকারের যাবতীয় মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
৪. শাপলা চত্বরের গণহত্যায় জড়িত আসামীদের বিচার করতে হবে।
৫. ১৮ সালে টঙ্গী ময়দানে সাদপন্থিদের নৃশংস আক্রমণের বিচার করতে হবে।
৬. কোনো অবস্থাতেই বিভ্রান্ত সাদ সাহেবকে এদেশে আসতে দেয়া হবে না।
৭. আলেমপন্থীদের বিশ্ব ইজতেমাই সরকারঘোষিত দুই পর্বে করতে দিতে হবে।
৮. কাকরাইল আজ থেকে কেবলমাত্র শুরায়ি নেজামে পরিচালিত হবে।
৯. অভিশপ্ত কাদিয়ানিদের অবিলম্বে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।