ফাতেমা খানম মৌ নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের তুলারামপুর বাজারের ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীদের ক্ষতিপুরনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বেলা সাড়ে ১০টায় তুলারামপুর বাজার বণিক সমিতির আয়োজনে নড়াইল যশোর সড়কের তুলারামপুর বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন,জামদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আাবু সাঈদ মোল্যা,ডাঃ ইন্দ্রজিত,মোঃ নেসফার রহমান,শ্যামলি বিশ্বাস,রাশিদা বেগম,মহিদুল ইসলাম প্রমূখ।
বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক আাবু সাঈদ মোল্যা বলেন,ক্রস-বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুফমেন্ট প্রজেক্ট ও রোড্স এর কিছু কর্মকর্তার গাফিলতির কারনে তুলারামপুর ব্রীজ এপ্রোচে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ব্যক্তিদের দোকান ঘরের ক্ষতিপুরনের টাকা পেতে বিলম্ব হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা মানবেতর জীবযাপন করছে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার নিয়ে। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত ক্ষতিপুরনের টাকা পায় তার ব্যবস্থা করতে উন্নয়নমূখী মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে বিনীত আবেদন। তা নাহলে সরকারের ভাবমুর্তি বিনষ্ট হবে।
ডাঃ ইন্দ্রজিত বলেন,ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপুরনের টাকা দেওয়ার জন্য নাম তালিকাসহ সকল প্রকার তথ্য কাগজপত্র,ব্যাংক ষ্টেটমেন্ট ভোটার আইডিকার্ড সংগ্রহ করা সত্ত্বে ও দুই মাস দুই মাস করে দুই আড়াই বছর পার হলেও অদ্যাবধি ক্ষতিপুরনের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেনি।
মোঃ নেসফার রহমান বলেন, ক্ষতিপুরন দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আমাদের দোকানঘর ভেঙ্গে ব্রীজ করার জন্য। তারপর থেকে আমরা বেকার হয়ে পড়ি। কর্মস্থান ও কর্ম হারিয়ে দুই আড়াই বছর মানবেতর জীবন যাপন করছি।
শ্যামলী বিশ্বাস বলেন,আমার স্বামী ১৪ বছর আগে মারা যান। তখন থেকেই এই দোকানের আয়ে আমাদের সংসার চলে। এখন দোকান ঘর ভাঙ্গা হয়েছে কিন্তু ঘরের টাকা পাইনি। সমাহার এনজিওর ম্যানেজার আব্দুল আলিম আমাদের কাছ থেকে নগদে ও বিকাশে অনেকবার টাকা নিয়েছে দ্রুত টাকা পাইয়ে দেবার কথা বলে।
রাশিদা বেগম বলেন,দোকানঘর হারিয়ে আমরা এখন পরের জমিতে জন বিক্রি করে সংসার চালাই। তাই আপনাদের কাছে বিনীত নিবেদন আমরা যাতে টাকা পাই।
মহিদুল ইসলাম বলেন,এখানে ১৫ ফুট গর্তের মধ্যে আরও ৮টি ঘর অনেক ব্যয়বহুল ভাবে তৈরি। উক্ত ঘরগুলির মালিকগন লোন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমরা চাই সরকার আমাদের সবার ক্ষতিপুরনের টাকা দিক না হলে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিক।
উল্লেখ্য গতকাল সজেমিনে তদন্ত করতে ঢাকা তেজগাও সড়ক জনপদের সুপারিন্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার জায়েদ আলমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বিকালে তুলারামপুর বাজারে গিয়েছিল।
তদন্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে জায়েদ আলম বলেন,আমরা নাম তালিকা সঠিক আছে কিনা এটা মিলাতে এসেছি এবং সঠিক পেয়েছি। এটা আমরা মন্ত্রনালয় পাঠাবো। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে। এ সময় প্রতিনিধি দলের সাথে ছিলেন নড়াইল সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুজ্জামান, ক্রস-বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুফমেন্ট প্রজেক্টের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন। সমাহার এনজিওর ম্যানেজার আব্দুল আলিম।
এ বিষয়ে একাধিকবার মুঠোফোনে জানতে চাইলে নড়াইল সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুজ্জামান ফোন রিসিভ করেননি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকমাস আগে ভুক্তভোগি ব্যবসায়ীদের সাথে কয়েক দফা আলোচনা করেছিলেন এবং সংশ্লিষ্টদের সমাধানের তাগিদ দিয়েছিলেন। গতকালের তদন্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মহোদয় বলেন,আইনশৃংখলার মিটিং চলতেছে পরে জেনে ব্যবস্থা নিতে বলতে পারবো।