বার্তা বিভাগঃ ভাল মানুষের পদভারে একটা জনপদ আলোকিত হয়। একটি অনুন্নয়ন এলাকা উন্নয়নের শিখরে পৌছাতে ত্যাগী মানুষের কোন বিকল্প নেই। যিনি কাজ করতে জানেন তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। তার আগ্রহে সহযোগীতা আবশ্যক। কাজের কাজীকে কাজের ময়দানে পাঠানোর জন্য সাধারণের কি করা উচিৎ কি না করা উচিৎ তা নির্ণয় করা অনেক ক্ষেত্রেই সহজ যদি তা ভোক্তভোগী অনুধাবন করতে পারেন। একজন মানুষের সাথে কয়েকজন হাত মেলালে শক্তি সঞ্চিত হয় অনায়াশে। তাকে দিয়ে দূর্জেয় কাজ কে সহজে করানো যায়। মনোবল যোগানো, সাহস যোগানো এবং কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছিয়ে দেয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ ভাবে ব্যক্তির পেছনে শ্রম দিলে তা বিফলে যাবে এটা ভাবা অবান্তর। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির জন্য উন্নয়নের লক্ষে কাউকে এমন একটি চেয়ারে বসানো দরকার যার দ্বারা জনপদ ও জনগণ উপকৃত হয়।
ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গাতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। অনেক-খানে নির্বাচনের দিন তারিখ ধার্য্য করা ছিল এবং মহামারি করোনার জন্য স্থগিতও করা হয়েছে। নির্বাচনী আমেজ ও কাঙ্খিত প্রার্থীকে বিজয়ী করার মজাই আলাদা। বিগত নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দ্বারা নির্বাচন হওয়াতে রাজনৈতিক দলের মনোনিত প্রার্থীকে দলের লোকেরাই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। এবার আলোচনা চলছে শেষ পর্যন্ত আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকছেনা। কখনো শুনা যাচ্ছে দলীয় প্রতীকেই হবে নির্বাচন। দলীয় প্রতিক না থাকাটাই অনেকের জন্য সুখের খবর। এই খবরটাকে অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে গ্রহন করছেন। অনেকের জন্য এটি বেদনাদায়কও বটে।
এবার আসি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ২নং খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিষয়বস্তুর দিকে। এটি বিশ্বনাথ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি ইউনিয়ন। বিগত নির্বাচন হয়েছিল দলীয় প্রতীকে। নির্বাচনে দলীয় প্রতীক প্রাপ্ত নৌকার মাঝিকে হারিয়ে স্বল্পবয়সী ধানের শীষের প্রার্থীর বিজয় লাভ করা এক নতুন ব্যায়াকরণ। এই বিজয়ে ইউনিয়নের মানুষের মাঝে আলাদা একটি ব্যায়াকরণ কষতে হয়েছে। বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হচ্ছেন বিএনপি মনোনিত লোক। বিগত নির্বাচনে জাতীয় পার্টি, আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামাত সমর্থিত প্রার্থীরা মাঠে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। একি দলের একাধিক প্রার্থী থাকার কারণে জনপ্রিয় অনেকেই জয়লাভ করতে পারেননি। এবারের চিত্র ভিন্ন। নির্বাচন যদি দলীয় প্রতীক ছাড়া হয় তা হলে মাঠে থাকছেন একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলে দল থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীর একাধিক সংখ্যার কথাও শুনা যাচ্ছে। অনেকের নাম চলে এসেছে মাঠ পর্যায়ে। কেউ কেউ ইউনিয়নের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত পর্যন্ত করছেন জনগণের মন জয়ের কর্মযজ্ঞ। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে তিন থেকে চার জনের নামের তালিকা। ভোটারের মন জয় করতে নানান প্রতিশ্রেুাতি, প্রতিজ্ঞা দিয়ে নিজের কাছে টানছেন প্রতিনিয়ত। প্রবাসী অধ্যুষিত খাজাঞ্চী ইউনিয়নের দুই থেকে তিন জন প্রবাসী ব্যক্তি আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন বলে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রবাসীদের মধ্যে একজন সৌদি আরব প্রবাসী বিশিষ্ট ধনাঢ্য ব্যক্তি, একজন আমেরিকা প্রবাসী এবং একজন যুক্তরাজ্য প্রবাসী রয়েছেন। সৌদি আরব প্রবাসী যিনি তিনি মাঠে আছেন দীর্ঘদিন ধরে। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী যিনি তিনি নৌকার প্রতীক পাবেন বলে আশা পোষণ করছেন। নির্বাচন ঘনিয়ে এলে দেশে আসবেন বলে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্য প্রবাসী যিনি তিনি সপ্তাহ খানেক হলো দেশে এসে অবস্থান করছেন। প্রবাসে থেকে এতোদিন নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে আসলেও এবার সরাসরি মাঠে এসে প্রচারণার কাজে মনোনিবেশ করেছেন। আসন্ন নির্বাচন এবং নির্বাচনী মাঠে কার কী ভুমিকা সেটা আমাদের বিচার্য্য বিষয় নয়। এটা নির্বাচিত করবে ইউনিয়নের ভোটারগণ। কাকে ভোট দিলে জনগণের লাভ হবে কাকে দিলে লাভ হবে না, এই দিক নির্দেশনা ঠিক করবে ইউনিয়নবাসী। যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করবেন তারা। এ বিষয়ে সচেতন কেউ ভুল করবেন না।
আমরা আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এবার উপজেলা ২নং খাজাঞ্চী ইউনিয়নে যারা প্রার্থী হচ্ছেন তাদের নিয়ে, ( যারা তথ্য দিতে রাজী) তাদের আদ্যপ্রান্ত কর্মগুণ নিয়ে তারা কেমন মানুষ একটু পাঠকের চোখে তুলে ধরতে চাই।
আমরা আজ যাকে নিয়ে মূলত আলোচনার জন্য এতো বিসদ লিখে পাঠকের সময় নষ্ট করছি এবার সরাসরি তাঁর সর্ম্পকে বলতে যাচ্ছি। যার স্লোগান হচ্ছে ‘আলোকিত খাজাঞ্চী গড়াই আমার অঙ্গীকার’ যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে যার বসবাস। কিন্তু নাড়ীর টানে আর এলাকার উন্নয়ন ত্বরাম্বিত করার লক্ষ্যে ছুটে এসেছেন দেশে। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। যোগাযোগ, চিকিৎসা, তথ্যপ্রযুক্তি, শিক্ষা, বিনোদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে যার একাগ্রতা বিরাজমান। তিনি খাজাঞ্চী ইউনিয়ন বাসীর সেবা করতে চান মনে প্রাণে। দুচোখ ভরা স্বপ্ন, কঠিন মনোবল, অবহেলিত এই ইউনিয়নকে উন্নয়নের রোল-মডেলে রূপান্তর করার পণ যার হৃদয়ের আওয়াজে উচ্ছারিত হয়। যার জন্ম ১৯৭৬ সালের পহেলা ডিসেম্বর। তিনি খাজাঞ্চী ইউনিয়নের হোসেনপুর (বড়বাড়ী) নিবাসী মরহুম আব্দুর রহিম এর পুত্র জনাব মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন রেজা।
জামাল উদ্দিন রেজার শিক্ষাজীবনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: তিনি হোসেনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ছহিফাগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। আলহাজ্ব লজ্জাতুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয় পাই গাও উচ্চ বিদ্যালয় এবং সর্বশেষ দেউলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। এরপর ১৯৯৪ সালে সিলেট সরকারী বাণিজ্যিক মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি (ডিপ্লোমা ইন কমার্স) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
উচ্চ শিক্ষা: ১৯৯৭ সালে সিলেট মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স সম্পন্ন করে ১৯৯৮ সালে হিসাব বিজ্ঞানে মাষ্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
এরপর: ২০০৩ সালে যুক্তরাজ্যে বসবাসের জন্য পাড়ি জমান। ব্যক্তিগত ভাবে তিনি বিবাহিত এবং ২ সন্তানের জনক। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসরত রয়েছেন।
লন্ডনে উচ্চ শিক্ষা: ২০১৫ সালে লন্ডন চার্চহিল কলেজ থেকে HND Diploma in Hospitality Managment কোর্স সম্পন্ন করেন। ২০১৭ সালে University of Sunderland থেকে একই বিষয়ে অনার্স সম্পন্ন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে তাঁর চলন: দেশে বসবাসকালীন স্কুল জীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সাথে জড়িত। যুক্তরাজ্যে গমনের পর তিনি বর্তমানে মেইনস্ট্রিম রাজনীতিতে কনজারভেটিভ পার্টির সক্রিয় সদস্য। এছাড়া ইউরোপের সর্ববৃহৎ দাওয়াহ সংগঠনের মুসলিম কমিউনিটি এসোসিয়েশনের সাথে সক্রিয় ভাবে কার্যক্রম পরিচালনার পাশা-পাশী কমিউনিটিতে রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি।
খেলাধুলা ও বিনোদনে সম্পৃক্ততা: খাজাঞ্চী স্পোটিং ক্লাব, বেস্ট ইলিভেন ক্রিকেট ক্লাব হোসেনপুর এর পৃষ্টপোষকতা ছাড়া ও ইউনিয়নের বিভিন্ন সংগঠন, সংস্থা, সামাজিক সংগঠনের অনুষ্ঠানাদিতে খেলনা সামগ্রী ও পুরস্কার দাতা হিসেবে তাঁর অভাবনীয় অংশগ্রহন রয়েছে।
তাঁর হাতে গড়া সংগঠন ও সম্পৃক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান: ছাত্রজীবন থেকেই লেখাপড়ার পাশা-পাশী ব্যবসা বাণজ্যে জড়িয়ে পড়েন। সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় গড়ে তুলেন মেসার্স জামিয়া ট্রেডার্স নামে একটি জনপ্রিয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন সুনামের সাথে তা করেন পরিচালনা। প্রবাস জীবনে গড়েন আব্দুর রহিম-লায়লা ফাউন্ডেশন। যার ফাউন্ডার চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন অদ্যবধি। যে সংগঠন থেকে প্রতিবছর ইউনিয়নের সমস্যগ্রস্থ মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেন সহযোগীতার হাত। বন্যা, মহামারি করোনা, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, গরীব ও অস্বচ্ছল মানুষের মাঝে ত্রাণ, বিয়ে সহায়তা, লেখাপড়ার খরচ, গৃহ নির্মাণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া প্রবাসে বিভিন্ন চ্যারিটি ট্রাষ্টের সাথে রয়েছে তার অবাদ সম্পৃক্ততা। বিশ্বনাথ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, বিশ্বনাথ ডেভলপমেন্ট ট্রাস্ট উল্লেখযোগ্য। এশিয়ান এক্সপ্রেস টুয়েন্টিফোর ডটকম অনলাইন নিউজ পোর্টালের উপদেষ্টা, আর-রহমান এডুকেশর ট্রাস্টের উপদেষ্টা, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা, আমরা প্রবাসী,ব্রিটিশ-বাংলাদেশী ওয়াকার্স এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতায় আছেন একনিষ্টভাবে জড়িত।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রনের নিমিত্ত্বে সদ্য দেশে আসার পর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন রেজার সাথে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় নির্বাচনে অংশগ্রহনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি জানান আমি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থেকেও আমার নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। খাজাঞ্চী ইউনিয়নকে একটি আধুনিক মডেল ইউনিয়নে রূপান্তর করতে। ইউনিয়নের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন, চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন. যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে আমার পারিকল্পিত চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ইতিপূর্বে খাজাঞ্চী ইউনিয়নকে বিশ্বব্যাপি পরিচিত করার নিমিত্ত্বে ‘আলোকিত খাজাঞ্চী ডটকম নামে একটি ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠা করেছি। যেখান থেকে প্রতিনিয়ত খাজাঞ্চীর ইতিহাস, তথ্য-উপাত্ত্ব, ঐতিহ্য, ঘটনাবলী বিশ্বের যেকোন স্থানে বসে দেখতে পারা যায়। এটা পরিচালনার দায়িত্বে আছেন অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ।
তিনি আরো বলেন; আমি প্রবাসে স্থায়ীভাবে বসবাস ও উন্নত জীবন যাপন করা স্বত্ত্বে ও দেশ এবং মাতৃভুমির টানে এলাকার মানুষের ভালবাসার তাগিদে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির উন্নয়নের পথের যাত্রী হতে চাই। এ এলাকার সাধারণ জনগণের দুর্দশা লাগবে জীবনের সকল অভিজ্ঞাতাকে কাজে লাগিয়ে ইউনিয়নকে উন্নত স্থানীয় সরকার অবকাঠামোর আওতায় নিয়ে আসার চিন্তা মননে লালন করি। আমি চাই শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আমার হাতকে শক্তিশালী করতে ইউনিয়নবাসী যেন আমার পাশে থাকেন। আমি ইউনিয়ন বাসীর সার্বিক সমর্থন ও সহযোগীতা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করব ইনশাআল্লাহ।