নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঝালকাঠির রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য দৈনিক নাগরিক ভাবনা, দৈনিক জনপত্র ও বাংলাদেশ বুলেটিন ডট কম পত্রিকার রাজাপুর এবং এস টিভি, দৈনিক নিউজ ঢাকা টুয়েন্টিফোর, দৈনিক প্রথম সংবাদ ও দৈনিক রুপালীদেশ পত্রিকার ঝালকাঠি প্রতিনিধি,এশিয়ান এক্সপ্রেস টুয়েন্টিফোর ডটকমে ঝালকাঠি প্রতিনিধি নাঈম হাসান ঈমন এর পিতার ৫ম তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তার গ্রামের বাড়ি রাজাপুর সদর ইউনিয়ন, ৫ নং ওয়ার্ডের ছোটকৈবর্তখালী, রাজাপুর থানা, ঝালকাঠি। সাংবাদিক নাঈম হাসান ঈমন বলেন আমার বাবা মোঃ ওয়ারেচ আলী মোল্লা ২০১৬ সালের ৩ফেব্রুয়ারী ২১শে মাঘ ১৪২৩ বঙ্গাব্দ রোজ বুধবার ৩:৩০মিনিটের সময় ঠিক এই দিনে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। দেখতে দেখতে আজ ৫টা বছর পেরিয়ে গেলো। সেদিনেই বুঝেছি বাবাকে হারানোর শোকটা কতটা কষ্টের। বিশ্বাস হচ্ছিল না আমার। সেই সময়টা মনে পড়লে দমবন্ধ হয়ে আসে। বাবাকে হারিয়ে আমি পাথর হয়ে গেছিলাম। আমার বাবা মোঃ ওয়ারেচ আলী মোল্লা রাজাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পড়ালেখা করছেন। সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী জনাব ব্যারিস্টার মেজর অবঃ শাহজাহান ওমর বীর উত্তম আমার বাবার স্কুল জীবনের বন্ধু একসাথে পথচলা, এক সাথে পড়ালেখা, এক সাথে যুদ্ধ, এক সাথে রাজনীতি দল করা। আমার বাবার সব থেকে রাজনৈতিক প্রিয় দল ছিলো বংলাদেশ জাতীয়তাবাদী (বিএনপি), আমার বাবা মোঃ ওয়ারেচ আলী মোল্লা ৫নং ওয়ার্ডের (বিএনপি’র) সভাপতি হিসাবে দীর্ঘবছর যাবত সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। জীবন চলার পথে সৎ ভাবে বেচে থাকার জন্য অনেক কিছুই করেছেন। কিন্তু কোন দিন অসৎ কোন কাজে জড়িত ছিলেন না।। সদাহাস্যমুখ মিশুক প্রকৃতির মানুষ ছিলেন আমার বাবা। তাই জেলার প্রত্যেকটি মানুষই তাকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করতেন ,মাথার উপর থেকে বট বৃক্ষের ছায়ার মতো এতোদিন যে মানুষটি আগলে রেখেছিল। মাঝে মাঝে এমন একটা সময় সবার জীবনেই আসে যখন মানুষ সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে, তখন কারো পরামর্শ খুব জরুরী হয়ে পড়ে। সে সময়ে পাশে দাঁড়ানোর মতো আদর্শ একজন মানুষ হল বাবা।।মাঝি বিহীন নৌকা যেমন চালানো যায় না তেমনি বাবা ছাড়া নিজের জীবনকে সামনে এগিয়ে নেয়া অনেক কষ্টের। বাবাকে হারিয়েছি ৫টা বছর হয়েছে। কিন্তু বাবার সেই স্মৃতি বাবার সেই উপদেশমূলক কথাগুলো আজও আমার অন্তরকে গভীরভাবে নাড়া দিয়ে যায়। আমি যখন নামায পড়ি প্রথমেই দোয়া চাই বাবা এবং মা’র জন্যে। এর পর সমস্ত মুসলিম মানবজাতির জন্য দু’হাত তুলে দোয়া করি।