মুহাম্মদ সায়েস্তা মিয়া (গদ্যকাব্য)
বিভৎস রাক্ষুসে কন্ঠ চেপে ধরে আমার
আমি ঘুম ভাঙ্গাই বলে তোমার,
আমার হাঁকে টুঠে তোমার নিদ
এসো দাজ্জালকে তাড়ানোর ধরি জিদ।
তুমি গান্ধীর যুক্তিবাদী খেতাব
কিংবা হলিউড সিনেমার ফাটাকেষ্ট,
তুমি মহলে ফিরো পলাশীর প্রান্তর থেকে
জাফরের মন্ডুপাতে মুক্ত হোক সিংহাসন।
ফ্রাঙ্কেস্টাইনের তৈরি দানব মানবতা
সিনাই পর্বতে মানুষের রক্তের হুলিখেলা,
তুমি মুজিবের কন্ঠের প্রতিধ্বনিতে দাও বলে
মুক্তির শ্লোগান, বল আমরা মুক্ত ।
ইতিহাস মনে রাখে নাগাসাকী’র কথা
ইতিহাস হয়, বেন-আলী কিংবা
গাদ্দাফী, সাদ্দামের শাসন।
ইতিহাস হয়েছে আরবে মরুবসন্ত খ্যাত মুক্তির দাবানল
শোষনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার গর্জন
অধিকার আদায়ে জগত খ্যাত মিছিল।
তুমি আজ দেখনি আদনান ভেসেছে
সমুদ্রতীরে বালির উপর উপুড় হয়ে ?
তুমি তাও দেখছো সাগরে ভাসমান লাশের বহর,
আর থাইল্যান্ডের গণকবর।
তুমি দেখছো অনেকের চোখ থেকে ঝরছে
সমবেদনার বৃষ্টি অবিরত, যার হৃদয় আছে বলে কাঁদে, দেয় প্রেম বিলিয়ে।
তুমি নাইজেরিয়ার মাংসহীন শিশুর দেহ দেখছো প্রতিদিন।
দেখছো কুকুরের সাথে উচ্ছিষ্ট খাবার খায় উদ্ভাস্তু আর
প্রাসাদওয়ালা ড্রেনে ফেলে দামী খাবার।
তুমি কি প্রতিবাদী হতে শেখনী?
তুমি বাস্তবের ফাটাকেষ্ট, মাদার তেঁরেসা-
কিংবা হাতেম হতে চাওনি?
তুমি বই হাতে তুল, কলম ধর
তুমি উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিমে জানাও মুক্তির পথে আসার আওয়াজ।
বল, সত্যের পথে এসো, সত্যের আহবান।
হাতের মুঠোয় বিশ্ব তোমার,
শুনছে তোমার হাক, নয় নির্বাক,নয় অবাক।
মুক্তির সনদে এ-হাক পৌছে যাক।
তুমি ভার লও উৎকৃষ্ট মানবতা রক্ষার-
তুমি হাত মেলাও, বল আমি তোমাদেরই লোক
বল বাংলা থেকে আমি পৃথিবীর শান্তি চাই।
তুমি আবৃতি কর আমার কবিতা
কিংবা নচি-কাতার বিদ্রোহী গান।
তুমি নজরুল হও ভাঙ্গো তালা
তুমি রবি হও বিশ্ব কবির জন্যে।