নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রামঃ
দস্যুতা ছেড়ে আত্নসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেও প্রতিপক্ষের জন্য টিকতে পারলেন না আইয়ুব আলী। সম্প্রতি কক্সবাজার সদর উপজেলাস্থ বাসা থেকে আইনশৃংখলা বাহিনীর পরিচয়ে একদল সাদা পোষাক দারী তাকে তুলে নিয়ে যায়। গত ১৩ নভেম্বর এ ঘটনার রাত থেকে অনেক খোজাখুজি করার পরও আইয়ুব আলীর কোন সন্ধান পায়নি তার পরিবার। এ নিয়ে পুরো পরিবার ভেংগে পড়েছেন।সুত্র জানায়, গত ১৩ নভেম্বর রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ অতর্কিতভাবে কক্সবাজার সদর উপজেলার আইয়ুব আলীর বাসায় দরজা ভেংগে ঢুকে পড়ে ৫/৬ জনের সাদা পোষাকদারী একদল বাহিনী। পরে তার বাসার বাহিরে ঘেরাও করে রাখা আরও ১০/১২জনসহ মোট ১৬-১৮ জনের একটি টিম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোক পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। এর পরেরদিন থেকে তার পরিবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ বিভিন্ন জায়গায় খোজ করেও তার সন্ধান পায়নি।গত ৫ নভেম্বর মহেশখালীর কালারমারছড়া সংগঠিত আলাউদ্দিন হত্যাকে কেন্দ্র করে এজাহারভুক্ত ১২নং আসামী আইয়ুব আলীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পরিবারের দাবী।প্রসঙ্গত, মহেশখালীসহ উপকূলের ৯৬ জন জলদুস্য ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর মহেশখালীর কালারমার ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে অস্ত্র ও গুলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিল। এতেই আত্মসমর্পণ করে ছিলেন আইয়ুব আলীও। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে বেরিয়ে মা ও ভাইবোন নিযে কক্সবাজারস্থ সদর উপজেলার দক্ষিন দিককুলে বসবাস করে আসছেন।তার পারিবারিক সদস্যরা জানিয়েছেন, আটক আইয়ুব আলীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হোক। না হয় প্রশাসনের কাছ থেকে আস্তা হারাবে সাধারণ আমজনতা। আইয়ুব আলী স্ত্রী জেসমিন আকতার জানান, কালারমার ছড়ার চেয়ারম্যান তারেকের লোকজনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাদা পোশাকে ধরে নিয়ে গেছে। আমরা র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক অফিসে যোগাযোগ করেও কোথায় তার সন্ধান পাচ্ছি না। হয়ত তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহয়তায় গুম করা হয়েছে। তাই আমি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি, সে অপরাধী হলে যাতে আদালতে তুলে দেন।