এইচ এম বাবুল জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রামঃ- অবৈধ ভাবে বেড়েই চলেছে ট্রলি,ট্রাক্টর,নছিমন ও ভটভটি দৌরাত্ন্য।
সরকারি কোন প্রকার নিয়মনীতি না মেনেই গ্রামীণ সড়কগুলোতে অবাধে চলছে ওই সব যানবাহন।
কুড়িগ্রাম জেলাসহ সকল উপজেলার বিভিন্ন সড়কে দেখা মিলেছে খড়, ইট, বালু ও মাটি বহনকারী ট্রলি, ট্রাক্টর নছিমন ভটভটি’র। দিনদিন বেড়েই চলেছে ওই সব অবৈধ যানবাহনের দৌরাত্ন্য। অপরদিকে বেপরোয়া চলাচলের কারনে প্রতিনিয়তই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা, সড়কগুলোতে অকালে ঝরছে তাজা প্রাণ। অনেকেই বরণ করতে হচ্ছে পঙ্গুত্ব।
কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্য পূরনে এসব যান বিদেশ থেকে আমদানি করার অনুমতি প্রদান করে থাকেন সরকার। কৃষি কাজের জন্য এসব পাওয়ারট্রিলার ট্রাক্টর মেশিন ক্রয় করা হলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করছে ইট, বালু, মাটি, বাঁশ, কাঁচামাল ও সকল প্রকার পণ্যসহ যাত্রী পরিবহনের কাজে।
এসকল যানবাহন বেপরোয়া গতিতে চলার কারনে যেমন ঘটছে দুর্ঘটনা ঠিক তেমনি পরিবেশ ও শব্দ দূষনের সাথে সাথে দ্রুতই নষ্ট হয়ে পড়ছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট গুলো। দুষনের কারণে ২০১০ সালে সারা দেশে সব ধরনের ট্রলি চলাচল অবৈধ ঘোষণা করে সরকার এবং ট্রলি আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। কিন্তু সেই আইনের কোন তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের সামনেই অবাধ বিচরণ করছে লাইসেন্স বিহীন ও অদক্ষ চালক দ্বারা চালিত ভয়ংকর এই বাহনগুলো।
এসব গাড়ি চালাতে লাগছেনা কোন প্রকার ড্রাইভিং লাইসেন্স। যার দরুন প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে। শ্যালোমেশিনের ইঞ্জিনকে ব্যবহার করে এসব ভটভটি, ট্রলি, নসিমন, করিমন, গাড়ি স্থানীয় বাজারের ওয়ার্কশপগুলোতে দেদারছে তৈরি হচ্ছে। এসব গাড়ির নেই কোন ফিটনেস ও রেজিষ্ট্রেশন, নেই কোন হর্ণ ও গতি নিয়ন্ত্রক। এসব গাড়ির বিকট শব্দে পথচারী সহ এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।
এ বিষয়ে পথচারীরা বলেন, ইট বালু মাটি ভর্তি এসব গাড়ির পেছনে রাস্তায় চলাচল অসম্ভব বিপদজনক। বেপরোয়া গতি ও বিকট শব্দে পরিবেশ ও সড়কগুলোর মারাত্নক ক্ষতি হচ্ছে এবং প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। গ্রামীণ রাস্তাঘাটগুলো চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়ছে এসব যানবাহনের কারনেই। আর সবসময় প্রশাসনের সামনে দিয়েই চলাচল করছে এ ধরনের সকল যানবাহন।
এসব গাড়ির অবিরত চলাচলের কারনে দুর্বিষহ হয়ে উঠছে পথিকের জীবন। অবৈধ এই যানবাহনি গুলো বন্ধে প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপ দাবী করেন পথচারী ও সচেতন মহল।